আব্দুল মজিদ মল্লিক, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ:
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির খবরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর চিফ ইঞ্জিনিয়ার নওগাঁর সাইদুজ্জামান সাঈদের পরিবারে স্বস্তি নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন কবে বাড়ি ফিরবেন তিনি এই আশায়।
সাইদুজ্জামান সাঈদের স্ত্রী মান্না তাহরিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমাদেরকে ফোনে জানানো হয় মুক্তির খবরটি। সকালে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান জলদস্যুরা তাদেরকে মুক্ত করে দিয়েছে এবং তারা চলে গেছে। এখন ধীরে ধীরে সোমালিয়া উপকূল পার হয়ে দুবাইয়ের দিকে যাওয়া হবে। ২২ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় লাগবে তাদের আসতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক মাস আমাদের খুবই ভয়াবহ বিপদের মধ্যে কেটেছে। আসলে বাইরের এটা কেউ বুঝবে না। তাদের মুক্তির খবর শোনার পর খুবই ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। এখন সুস্থভাবে যত দ্রুত বাড়ি ফিরবে আমরা ততই স্বস্তি পাব।’
দ্রুত আটক নাবিকদের পরিবারের কাছে ফিরে দেওযায় কোম্পানি ও সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের হাতে সাইদুজ্জামান সাঈদ আটকের খবরের পর থেকে দিনগুলো যেন বিভীষিকাময় কেটেছে। এর মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর চলে এলেও ঈদের খুশি ছিল না পরিবারে। ছেলের মুক্তির খবর শোনার পর আমাদের পরিবারে স্বস্তি এসেছে। আমাদের বুকের ওপর যে পাথর চেপে ছিল, সেটি নেমে গেছে। এই খবর শোনার পর ঈদের যে আনন্দ আমরা নতুন করে উপভোগ করছি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয় জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ওই জাহাজের ২৩ জনের নাবিকের মধ্যে নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ শাহী মসজিদ ফিসারি গেট এলাকার সাবেক অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে সাইদুজ্জামান সাঈদ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ।
Leave a Reply