সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে প্রায় দু’শতাধিক আমগাছ হত্যার অভিযোগ উঠেছে।আমগাছের কান্নায় বাতাসভারী হলেও মন গলেনি হাসান বাহিনীর।এনিয়ে গ্রামবাসির মাঝে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে, বিরাজ করছে উত্তেজনা। গত ১৭ এপ্রিল বুধবার প্রকাশ্যে দিবালোকে তানোর পৌর এলাকার জিওল চাঁদপুর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। জায়গার মালিক যেই হউক তার সমাধান হবে। কিন্ত্ত একই সঙ্গে এতোগুলো আমগাছ হত্যা সচেতন মহলকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জেল নম্বর ১৩৬, জিওল মৌজায়, আরএস খতিয়ান নম্বর ৩৩ এবং আরএস ২৫৩ দাগে এক একর ৪৭ শতকের কাত প্রায় সাড়ে ১৮ শতক জমির মালিক জিওল মহল্লার মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। এবং তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই জমি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও জবরদখলের পায়তারা করে আসছে জিওল মহল্লার বাসিন্দা বিএনপি মতাদর্শী প্রভাবশালী হাসান আলী। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি জমির মালিক মুন্তাজ আলীর পুত্র যুবলীগ নেতা আলী হোসেন ওই জমিতে প্রায় আড়াইশ’ আম্রপালি আমগাছ লাগিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,গত বুধবার দুপুরে হাসান আলীর নেতৃত্বে তার পুত্রসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এসব আমগাছ কেটে সাবাড় করেছে। আলী হোসেন জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে রয়েছে, তবে মাঝে মধ্যেই হাসান ভাড়াটিয়া বাহিনী এনে জবরদখলের চেস্টা ও ফসলের ক্ষতি করে থাকে। আলী হোসেন বরেন, তার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে এই জমিসহ আরো জমি কিনেন এবং কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। কিন্ত্ত হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, তবে তার লাঠি ও টাকার জোরে এসব জমি জবরদখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আলী হোসেন আরো বলেন, তিনি থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসার কথা রয়েছে। অথচ থানায় বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে আমার প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে হাসান আলী বলেন, তিনি বিগত ২০০৫ সালে এই কিনেছেন।, কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করেছে তিনি জানেন না, তার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে হাসান আলী জানান, তিনি এডিসিতে আবেদন করেছিলেন, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমির খারিজ বাতিল হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। এবিষয়ে আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমাদের নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসান আলীর যদি কাগজ সঠিক থাকে ও আমাদের খারিজ বাতিল করতে পারে তাহলে আমরা স্বেচ্ছায় জমির দখল ছেড়ে দিবো। কিন্তু হাসান আলী বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব ফসল নষ্ট করে এবার এতোগুলো আমগাছ কেটে ফেলেছে এর ক্ষতি পূরুণ কে দিবে ? এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply