আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি -
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় অসহায় দুস্থদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে অর্ধশতাধিক পরিবারকে অটো ভ্যান উপহার দিয়েছেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব, ব্যাবসায়ী জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, গরিব দুঃখী অসহায় মেহনতি মানুষের হৃদয়ের আশ্রয় স্থল, বিশিষ্ট দানবীর এবং বহু মসজিদ মাদ্রাসা ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ,
কাসেমুল উলূম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত সভাপতি,লুৎফুন্নেসা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা,এফ এ আর গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান,
জনাব আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ফারুক সাহেব।
আজ ১২ মে রবিবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় এ কর্মসূচি পালিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে কাসেমুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও শামসুন্নাহার মহিলা মাদ্রাসা এবং লুৎফুন্নেছা হাফিজি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সালাউদ্দিন খান তার বক্তব্যে বলেন,
শুধু হিজলা উপজেলা নয় বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে এফ এ আর গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ফারুক সাহেব অসহায় দুঃস্থ মানুষদের স্বাবলম্বী করার জন্য এর আগেও গরু বিতরণ করেছেন, এবার মোটর চালিত অটো ভ্যান উপহার দিয়ে অসহায় দুস্থদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছেন।
এ ছাড়াও তিনি সামাজিক উন্নয়নমূলক মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণসহ নানান দিক দিয়ে সাহায্য
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসছেন। তিনি আরো জানান এফ এ আর গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় মনে করেন, তাদের সম্পত্তিতে গরীবের হক রয়েছে, এবং এই সহযোগিতার জন্য তার কোন দুনিয়াবী বিশেষ উদ্দেশ্য নাই।
মুল লক্ষ্য হলো,সমাজের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। এবং সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষ তাদেরকে,এবং তার মা বাবা এবং বড় ভাইয়ের জন্য দোয়া করে সেই লক্ষ্যেই তিনি এ সমস্ত কাজ আঞ্জাম দিয়ে আসছেন।
বেশ কিছুদিনের মধ্যে লুৎফুন্নেসা মহিলা কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলেও জানান মাওলানা সালাহউদ্দিন খান সাহেব। আলহাজ্ব আঃ কাদের ফারুক সাহেবের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব কাজী ফারুক সাহেব,তিনি দিকনির্দেশনা মুলক আলোচনা করেন।আলোচনা শেষে প্রায় অর্ধশতাধিক অসহায়দের মাঝে অটো ভ্যানের চাবি হস্তান্তর করেন।
ভ্যান পেয়ে খুশিতে উচ্ছ্বসিত অসহায় ব্যক্তিরা। তারা এরকম মহত উদ্দেশ্যের জন্য আলহাজ্ব আঃ কাদের ফারুক সাহেবকে ধন্যবাদ জানান। তারা আরও বলেন এই ভ্যানের মাধ্যমে তারা তাদের স্ত্রী ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, এবং আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
এরকম উদ্যোগ হিজলায় আর কেউ নেয়নি বলেও জানান ভ্যান চালকরা,এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে সমাজে কোন অসহায় ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানান গুনীজনেরা।