সাঁথিয়া প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ায় শেখ রাসেল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন ট্রেডে ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩জনই ফেল করেছে পদার্থ বিজ্ঞানে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোযোগমাধ্যমসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ঝড় বইছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে ১টি বছর পিছিয়ে গেল। কে এর জন্য দায়ী ? শিক্ষক,ছাত্র নাকি অভিভাবক ? এ প্রশ্ন সর্বত্র। ভাল মার্কস পেয়েও শুধু পদার্থ বিজ্ঞানে ফেল যাওয়ায় ক্ষোভে আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেস্টা করে। তার স্বজনেরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এলে আজ ৬দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তবে এখনও সে পুরোপুরি সুস্থ নয় বলে জানান রোগীর স্বজনেরা।
দৌলতপুর শেখ রাসেল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একাডেমিক বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বছর বিভিন্ন ট্রেডে ৯৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ( ভোকেঃ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী ফেল করে। এদের মধ্যে ৩৩ শিক্ষার্থী পদার্থ বিজ্ঞানে ফেল করেছে। এর মধ্যে ২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। তবে এদের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীর মার্কস জিপিএ ৪ এর উপর থাকার পরেও ওই ১টি বিষয়ে ফেল করায় তারা অকৃতকার্য হয়।
ফল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলম জানান, শিক্ষক সংকটই মূল কারণ। যদিও খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কোনভাবে পাঠদান করানো হতো। অপরদিকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রোগ্রামের ভেন্যু এখানে করা হয়। এতে করেও পাঠদান ব্যবহত হয়েছে। এখন শিক্ষক একজন আসছেন ৪০তম বিসিএস এর । ইনশাল্লাহ আগামী বছর ভাল করবে শিক্ষার্থীরা।
ফল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এভাবে এক যোগে একই বিষয়ে এতগুলো শিক্ষার্থীর ফেল করার ব্যাপারে শিক্ষক দায় এড়াতে পারে না। তবে শিক্ষক সংকট থাকলে সেটা ভিন্ন। প্রোগ্রামের ভেন্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীতে নির্দিষ্ট কোন কলেজ বা স্কুলে না করে আমরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রাম করবো।