ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি :
আসন্ন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে। ততই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে নির্বাচনের পরিবেশ। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন যুবনেতা ফারুক ইকবাল হিরুর মাইক মার্কা।
জানাযায়, আগামী ২১মে/২০২৪ ২য় ধাপে ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এ্যাড. মোঃ আব্দুস ছালাম। ২১মে/২০২৪ শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইদ্রিস আলী বাহাদুরের জেষ্ঠ্য পুত্র যুবনেতা ফারুক ইকবাল বিজয়ের লক্ষে সাধারণ ভোটারদের মনজয় করার জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার হাট-বাজার, পথে-প্রান্তরে, পাড়া-মহল্লায় মাইক মার্কা নিয়ে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাইক মার্কা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রতিদিন বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। যেখানেই প্রচার-প্রচারণা করছেন সেখানেই সাধারণ ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটের এলাকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ফারুক ইকবাল হিরুর মাইক মার্কা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটাররা জানান, তারুণ্যের প্রতীক ফারুক ইকবাল হিরুর মাইক মার্কা হলো উন্নয়নের মার্কা। মাইক মার্কাকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এবার আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাইক মার্কাকে বিজয়ী করবো। ফারুক ইকবাল হিরু তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। ফারুক ইকবাল হিরু বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সকলেই জন্মসূত্রে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বাবা নিজের জীবন বাঁজি রেখে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা রক্ষায় সংগ্রাম করে মৃতু্্য বরণ করেছেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইদ্রিস বাহাদুরের সন্তান আমি। আমি ১৯৮৯ সালে ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রথম সদস্য নির্বাচিত হই। তৎকালীন সেনা শাসক এরশাদ হঠাও আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই এবং উপজেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী-সমর্থক হিসাবে নিয়োজিত আছি। আমি গত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি এবারও আমি ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। সকলের দোয়ায় নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট ইসলামপুর উপজেলা গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
Leave a Reply