নিউজ ডেস্ক :
বুধবার (২২ মে) কলকাতার নিউটাউন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে তারা।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়ে উত্তরের বরানগরে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন আনার। ১৩ মে তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু আর ফেরেননি।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪ জানিয়েছে, আনারের শেষ মোবাইল লোকেশন মিলেছিল বিহারে। গত ১৪ মে থেকে তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। গত আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও তার ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছে মেসেজ পাঠানো হয় যে তিনি নয়াদিল্লি চলে গেছেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ মে নিউটাউনের একটি বাড়িতে যান এমপি আনার। সেই বাড়িতেই খুন করা হয় তাকে।
পুলিশের বরাতে কলকাতা২৪ জানিয়েছে, নিউটাউনে যে বাড়িতে তিনি গিয়েছিলেন সেটা একজন এক্সাইজ অফিসারের। ভাড়া নেয়া বাড়িতে খুন করা হয়েছে এমপি আনারকে। খুনের দিন এই বাড়িতে নাকি নারীসহ একাধিক লোকজন ছিলেন। কিন্তু আনারের রহস্যজনক মৃত্যুর পর সবাই ভারত থেকে পালিয়ে গেছেন।
মো. আনোয়ারুল আজিম আনারের জন্ম ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে। পেশায় ব্যবসায়ী আনার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে তিনবার (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) নির্বাচিত সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং এক সময়ের জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড়। ছাত্রজীবনে আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবলে তার নেতৃত্বাধীন দল কালীগঞ্জ সরকারি ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। স্থানীয় পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচন দিয়ে ভোটের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। এর আগে বিশাল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় নির্বাচনগুলোতেও তিনি জয়ের ব্যবধান দিয়ে একই জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রাখেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় কখনও তাকে পুলিশি প্রটোকল ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে দিন অথবা রাতে যখন প্রয়োজন তখনই নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে কোনও গ্রামে পৌঁছে যেতেন।