নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদরের গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কের পাশের প্রায় ২০ ফুট গভীর করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। ফলে একদিকে সড়কটি ভাঙ্গনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অন্যদিকে শিশু শিক্ষার্থীরাও খাদের মধ্যে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। গভীর পুকুর খনন করায় শিক্ষার্থীদের জীবননাশের আশংকার অভিযোগ এনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান-ধুড়িয়া সড়কের পাশে ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত । গত ১ মাস আগে স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় স্কুলের ঠিক বিপরীত পাশের জায়গার মালিক মাওঃ তৈয়েবুর রহমান সড়ক ও স্কুলের নিরাপত্তার কথা না ভেবে প্রায় ২০ ফুট গভীর করেবএকটি পুকুর খনন করছেন।
গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লাবনী খানম বলেন, রাস্তার পাশে পুকুরটি ১৫-২০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছে। প্রায় ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী সাঁতার জানেনা। তাতে যে কোনো শিক্ষার্থী এখানে পড়ে গেলে বড়ো ধরণের বিপদ হতে পারে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান (চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের স্বদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান) আজিজুর রহমান ভূঁইয়াকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া জায়গাটি স্কুলের জায়গা হতে পারে। আগে জায়গাটি মেপে প্রয়াজনে সদর থানাকে জানানো হবে।
গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মশিউর রহমান রিপন বলেন, গ্রামবাসি এবং স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সড়কের ভাঙ্গণ ও শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করে তৈয়েবুর রহমানকে মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি। এখানকার মাটি বিক্রি করছেন। অত্যন্ত গভীরভাবে খনন করায় যেকোনো মুহূর্তে রাস্তা ভেঙ্গে যাবে এবং শিক্ষাথীরা এখানে পড়ে জীবনহানী ঘটতে পারে।
এ বিষয় অভিযুক্ত মাওঃ তৈয়েবুর রহমানকপ কয়েকবার ফোন করলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দু’দিন আগে এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ছাড়া স্কুল কর্তপক্ষকে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং থানা পুলিশকে জানাতে বলছি।