রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাটের আ’লীগ নেতাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সাবেক তিনজন সংসদ সদস্য ও দুইজন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৮ জনের নামে ঢাকার আশুলিয়া থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামের মৃত খোকা শেখের ছেলে সহিদুল ইসলাম।
দায়েরকৃত হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন- লালমনিরহাট জেলা আ’লীগের সভাপতি ও লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন, হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, হাতীবান্ধা উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক এমপি মোতাহারের ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুমন খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত এক/দুইশ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়- শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারড়ুবি গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে সুজন ইসলামকে চাপ প্রয়োগ করেন আসামিদের মধ্যে আ’লীগের ১৬ জন নেতাকর্মী। দমন না করলে সুজন ও তার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। তাদের অব্যাহত চাপে গত ৩০ জুলাই বাড়ি থেকে ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইলের ভাড়া বাসায় চলে যান সুজন ইসলাম। সেখান থেকে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্যদের সঙ্গে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে যোগদান করেন সুজন ইসলাম। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন সুজন ইসলাম। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী সুজন ইসলামের বাবা সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে প্রধান করে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো এক/দুইশ জনের নামে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
Leave a Reply