মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, স্টাফ রিপোর্টার।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে চা বিক্রেতা বিক্রম কোচের সংসার। বিক্রম উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া মাজার রোড গ্রামের বাসিন্দা।
যানা যায়, বিক্রম দীর্ঘদিন যাবত অন্যের জায়গায় ঘর উঠিয়ে একটা চায়ের দোকান করে আসছিল, পাশাপাশি তার ছেলে কৃষান্ত বিভিন্ন গাছ থেকে পিপিলিকার ডিম সংগ্রহ করে বিক্রি করতো, এতে করে ভালোই কাটছিল তাদের সংসার। হঠাৎ এক কালবৈশাখী ঝর নেমে এসে যেন তাদের জীবনে কাল্ হয়ে দাড়ালো।
স্থানীয়রা বলেন, গত, মার্চের ২৩ তারিখে পাহাড় থেকে বন্য শুকর নেমে এসে ২/৩ জন ছোট বাচ্চাদের আক্রমণের চেষ্টা করে, এসময় কৃষান্ত কোচ্ বাচ্চাদের রক্ষা করার জন্য দৌড়ে ঘটনা স্থানে গেলে কৃষান্তের উপর আক্রমণ করে বন্য শুকর, পরে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এসময় শুকরের কামড়ে কৃষান্তের পেটের ভুঁড়ি বেড়িয়ে আসে।
গুরুতর অবস্থায় তাকে ঝিনাইগাতী উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে - কর্মরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়রা আরও বলেন, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি, সবাই গরীব মানুষ তারপরও আমরা তার চিকিৎসার জন্য যে - যা, পারি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি দিয়েছি। এ সময় ছেলের চিকিৎসার জন্য বিক্রম, ইউপি: সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রুকুনুজ্জামান ( জামান ) এর কাছে গিয়ে ছেলের চিকিৎসার জন্য একটু সাহায্যের আবেদন করেন কিন্ত শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন, ইউপি চেয়ারম্যান জামান।
এমতাবস্থায় বিক্রম, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মানুষের কাছে অনেক টাকা পয়সা ঋণদার হয়ে পড়ে। এখন কিছুটা সুস্থ হলেও - করতে পারছে না কোনও কাজ। বর্তমানে সে ছোট একটা টেবিলে শুধু চা- পান বিক্রি করছেন। দেখা যায়, সারাদিন ধরে ২/৩ শত বিক্রি হয় আর এটা দিয়েই চা - পাতা ও দুধ, চিনি,পান - সুপারি ক্রয়ের পরে যা থাকে - তা দিয়েই অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদের সংসার।
এমতাবস্থায় বিক্রম এর স্ত্রীও গ্রামবাসির পক্ষ থেকে, এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় প্রতিনিধি,জনপ্রতিনিধিও প্রশাসনের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একই সাথে এই পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেন।