বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির কাছে ৪৮ ঘন্টার কঠোর আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (১৪সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানব বন্ধনের মাধ্যমে এই আল্টিমেটাম দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জন্য যোগ্য, মেরুদণ্ড সম্পন্ন এবং বিশ্বমানের পাঠ-পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত এমন একজনকে ভাইস চ্যান্সেলর বা উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়াও আগামী দিনগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি ও প্রত্যাশা রাখেন তারা।

এছাড়া তারা আরও বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ না দিলে উত্তরবঙ্গের সাথে পুরো দেশের সড়ক বন্ধ করা হবে এবং এতেও কাজ না হলে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করা হবে।

আন্দোলনে বক্তারা বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দিলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ভিসি নিয়োগ না দিয়ে আমাদের সাথে বৈষম্য করছে। অথচ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৯ আগস্ট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদ পদত্যাগ করেন। হাসিবুর রশীদ বেরোবির উপাচার্য হিসেবে ২০২১ সালের ১৪ জুন যোগদান করেছিলেন। চার বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এরপর থেকে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে সরে যান ড. হাসিবুর রশীদ।