1. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  2. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  3. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আত্রাইয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি, অভিযোগ পেয়েও নীরব প্রশাসন ঝিনাইগাতীতে অর্থনৈতিক শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের বিস্ফোরণ, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালকের মৃত্যু শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশে পরিবর্তন ঘটেছে – আমীর খসরু নওগাঁয় তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন কারখানা সিলগালা,বিপুল পরিমান পলিথিন জব্দ ঝিনাইগাতীতে বেশী দামে ধান বীজ বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড নালিতাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর সোহেল রানা হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার নড়াইলে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবাসহ আটক ৩
শিরোনাম:
আত্রাইয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি, অভিযোগ পেয়েও নীরব প্রশাসন ঝিনাইগাতীতে অর্থনৈতিক শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের বিস্ফোরণ, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালকের মৃত্যু শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশে পরিবর্তন ঘটেছে – আমীর খসরু নওগাঁয় তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন কারখানা সিলগালা,বিপুল পরিমান পলিথিন জব্দ ঝিনাইগাতীতে বেশী দামে ধান বীজ বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড নালিতাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর সোহেল রানা হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার নড়াইলে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবাসহ আটক ৩

লালমনিরহাটে পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ, দুশ্চিন্তায় তিস্তা তীরবর্তী বাসিন্দারা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 

 

সাহিদ বাদশা বাবু, লালমনিরহাট  ::

উজানের ঢল ও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। গত তিন দিনে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে৩০ হাজার মানুষ।

চলতি বছর দফায় দফায় বন্যায় সর্বস্বান্ত উত্তরাঞ্চলের মানুষ। পঞ্চম দফার বন্যায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজে দ্রুত পানি বাড়ার কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পরে পানি রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কিছুটা কমে বেলা ৩টার দিকে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে রবিবার দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৫ মিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)  যা বিপদসীমার ৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ অবস্থায় লালমনিরহাট তিস্তা নদী সংলগ্ন চর এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট তিস্তা নদী সংলগ্ন চর এলাকায় দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে দহগ্রাম, সানিয়াজান, গুড্ডিমারি, ভোটমারি, ডাউয়াবাড়ী, মহিষখোচা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়ন এলাকায় মানুষ নদী ভাঙনসহ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সেখানকার গবাদিপশুগুলো উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি অভাব এবং সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে চর এলাকার রাস্তাঘাট। বন্যায় পানি বাড়ায় তিস্তা রেলওয়ে স্টেশনের রেললাইন পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সকাল থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমলে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বন্যাকবলিত এলাকায় বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় জানান, বন্যার কারণে জেলায় ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় পানি নেমে গেলে পুনরায় পাঠদান চালু হবে।

খুনিয়াগাছ চোংগাদাড়া এলাকার তিস্তা চর এলাকার ফজর আলী বলেন, ‘তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। গৃহপালিত পশু নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। রান্নার চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করা খাবার খেতে পারছি না। টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।’

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বাহাদুর পাড়ার আছিয়া বেগম বলেন, ‘দুই দিন বন্যার পানির জন্য মুই ভাত রান্না করতে পাং নাই, একজনে ভাত দেছে তাক খাইলাম। চুলা টুলা ব্যাবাক তলে গেছে বাহে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, ‘বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ তথ্য মতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একেবারেই কমে গেছে। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি সামনে আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পানি কমার সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দেয়। এজন্য আমরা জরুরি আপদকালীন ভাঙন রোধে জিও ব্যাগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

প্রতি বছর বন্যা হওয়ায় তিস্তার গর্ভে পলি পড়ে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে অল্প পানিতে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় তীব্র ভাঙন। এতে প্রতি বছর ভূমিহীন ও গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ছে। নদী ভাঙন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে দ্রুতই স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ চান লালমনিরহাট তিস্তা এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD