মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, স্টাফ রিপোর্টার।
গত দু’দিনের অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নালিতাবাড়ী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও শ্রীবরদী উপজেলার ২টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে শতশত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শতশত একর জমির আমন ফসল ও শাক সব্জি আবাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দি লোকজনকে প্রশাসনের সহায়তায় উঁচু স্থান ও উচু স্কুল মাদ্রাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে নদীগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাড় ভেঙে নালিতাবাড়ী উপজেলার পৌর শহরসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়ন,ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও শ্রীবরদী উপজেলার ২ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরে।
পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে গ্রামিন রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরে । ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদে ঢলের পানির প্রবেশ করে।
ঢলের পানিতে তলিতে উপজেলা সদর বাজার, ধানশাইল বাজার, আয়নাপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পানিবন্দি এলাকার লোকজনের বাড়িতে চোলা জ্বলেনি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি নিয়ে মানুষের ভোগান্তিতে পড়ে।
পানিতে তলিয়ে শতশত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। আকর্ষিক পাহাড়ি ঢোলের পানির তোড়ে শতাধিক কাচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজার হাজার একর জমির আমন ফসল ও শাকসবজি ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল সকাল থেকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার পানিবন্দি এলাকার লোকজনের মধ্যে ৩ হাজার পেকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হযেছে।
তিনি বলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ছাত্রজনতার সমন্বয়ে পানিবন্দি এলাকার লোকজনকে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
Leave a Reply