ওবায়দুর রহমান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি।
মাগুরা শালিখা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধদের জের ধরে(তিহাত) সালিশদারে উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় গুরুতর আহত নুর মিয়া মাতুব্বর জানান,গত ৬ আগষ্ট শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের শওকত মাষ্টার লোকজন নিয়ে একই গ্রামে আমার দলে থাকা জিয়ার উদ্দীনের বাড়িতে যেয়ে তার বসবাসের বাড়ি শওকতের বলে দাবি করে জিয়ারকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে।আমি শওকত ও তাদের লোকজনকে বলি,জমিটি নিয়ে যেহেতু মাললা চলছে মামলার রায়ে যারা পায় তারা জমি খাস,এখন এটা নিয়ে ঝমেলা কেউ করিসনে।এ ঘটনার পর গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে আমরা দুই ভাই এশার নামাজ পড়ে বাড়ী ফেরার সময় আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বুকে,পায়ের গিরায়,উরুতে,মাথায় কপালে পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে, আমার ভাই জালাল ঠেকাতে গেলে তার পেটে,মাথায়,পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে,এছাড়া আমার চাচাতো ভাই হায়দারকেও তারা মারধোর করে,আমরা দুই ভাই এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছি।আহত নুর মিয়ার ভায়ের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন,আমার চাচাদের কুপানোর ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ২২ আগষ্ট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে শালিখা থানায় একটি মামলা করি।মামলার পর কয়েকজন আাসামী কোর্ট থেকে জমিন নিলেও মেইন মেইন আসামীরা আড়পাড়া বাজারে থানার সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আমাদের দাবি আমার চাচাদের যারা পঙ্গু করে দিয়েছে,তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এ বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:ওলি মিয়া বলেন,ঐ ঘটনার পর উভয়পক্ষ থানায় দুটি মামলা করেন,মামলা নং ৯ ও ১০ এরপর আমরা উভয়পক্ষের ২ জন আসামি গ্রেফতার করি।নুর মিয়ার মামলায় কিছু আসামিরা জামিন নিয়েছেন আর কিছু আসামি পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply