মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, স্টাফ রিপোর্টার।
শেরপুর জেলার সীমান্ত জনপদে হাতি-মানুষের দ্ব›দ্ব এখন চরম আকার ধারণ করেছে। এমন অবস্থায় ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শেরপুর জেলা হাতি সংরক্ষণ সমন্বয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং শেরপুর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ সমন্বয় সভার আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ। সভায় হাতি-মানুষে দ্ব›দ্ব নিরসনে এলাকার মানুষের মাঝে সচেতনতা আরও জোরদার করা এবং ইআরটি (এলিফেন্ট রেসপন্স টিম) টিমকে শক্তিশালী করার তাগিদ দেওয়া হয়। সেইসাথে ইআরটি টিমকে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ক্ষতিপুরণ প্রদানের নীতিমালা আরও সহজীকরণ করা ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় হাতি চলাচলের পথ বা করিডোর সংরক্ষণ এবং অভয়ারণ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া, হাতি উপদ্রব এলাকায় হাতির খাবারের উৎস সৃষ্টি করা এবং সোলার ফেন্সিং ও বায়োফেন্সিং কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বআরোপ করা হয়। সভায় কমিটির অন্যান্য সদস্য ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ, সাংবাদিক হাকিম বাবুল, মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর, কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবীর প্রমুখ। জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান সভায় বলেন, বনাঞ্চলে এবং আশপাশের অনেক এলাকার বসবাসকারী অনেকের জমির মালিকানা ও ওয়ারিশান নিয়ে ক্ষতিপুরণ পেতে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। হাতির কারণে যাদের আবাদ-ফসল, ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা সেটি নিয়ে কী প্রক্রিয়া করা যায়, সেটি ভাবতে হবে। ক্ষতিপুরণ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ এবং জটিল হওয়ার কারণে এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কিছু করা যায় কী না, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে। স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে হাতি সুরক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইআরটি টিমগুলোকে আরও সচেতন ও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে।