মাগুরা প্রতিনিধি।
মাগুরায় হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা ও মেয়েকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ নভেম্বর রাতে মাগুরা সদরের বেরইল-পলিতা ইউপির ভাঙ্গুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত সঞ্জয় দাস বলেন,বুধবার রাতে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৬ জন লোক এসে আমার নাম ধরে বলে সঞ্জয় বাড়িতে আছে নাকি?আমার স্ত্রী বলে কারা আপনারা? জবাবে তারা বলে তোর মেয়ে কোথায়? আমার স্ত্রী বলে সবাই বাড়িতেই আছে কিন্তু কারা আপনারা?কি দরকার আপনাদের?এ কথা বলার সাথে সাথে তারা আমার মেয়ের ঘরের মধ্যে ঢুকে তাকে টেনে হেঁসড়ে ঘর থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করে,আমার মেয়ে যেতে না চাইলে,তাকে তারা মারপিট করে,ঘর থেকে বের করে মোটরসাইকেল উঠাতে যায়,এসময় আমি এগিয়ে গেলে আমাকে তারা ছুরি দিয়ে কয়েকটি কোপ দেয়।এর মধ্যে একটি কোপ আমার নিচের ঠোঁটে লাগে,আর কয়েকজন আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে।আমি বুদ্ধি করে যে মোটরসাইকেলে আমার মেয়েকে উঠানোর চেষ্টা করে,ঐ গাড়ির চাবি নিয়ে চিৎকার দেই।
এসময় প্রতিবেশীরা চারিদিক থেকে চলে আসলে তারা মাগুরা ল-১১-৪৬৯৮ নম্বর প্লেটের মোটরসাইকেল রেখে দুটি মোটরসাইকেল করে পালিয়ে যায়।তারা আমার স্ত্রী গলা থেকে ৪আনা ওজনের সোনার চেইন ও বিছানার তলে রাখা ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।এর ঘটনার কয়েক মিনিট পর আমাদের পার্শ্ববর্তী বেরইল গ্রামের খাড়া পাড়ার মনিরুল ইসলাম মোটরসাইকেলটি তার দাবি করে নিতে আসে।আমরা মোটরসাইকেলটি দিতে না চাইলে সে আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় এবং ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে যায়।আমরা মোটরসাইকেলটি স্থানীয় শত্রুজিৎপুর ক্যাম্পের পুলিশকে দিয়ে দেই।এরপর আমি মাগুরা সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হই,আমার ঠোঁটে ২২টি সেলাই দিতে হয়েছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে মনিরুল আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত,এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য (সাবেক)সাইফুজ্জামান শিখরের সাথে তার একাধিক ছবি ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় সঞ্জয় দাসের মেয়ে (ভিকটিম) সঙ্গীতা দাস বাদী হয়ে গত ১৬ নভেম্বর মাগুরা সদর থানায় একটি আভিযোগ দায়ের করেছেন।মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:আইয়ুব আলী বলেন,একটি অভিযোগ পেয়েছি,তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply