মাগুরা জেলা প্রতিনিধি।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডলের বিচার ও অপসারণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা সড়কে অবস্থান কালে তাদের কাছ থেকে ব্যানার কেঁড়ে নিয়ে সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের ভায়না যেয়ে সড়কের উপর বসে অবস্থান নেয়,এসময় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যানযটের সৃষ্টি হয়।পুলিশ, মাগুরা মটর শ্রমিক,ছাত্রদল,যুবদলেরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেন,এবং মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন।কিন্তু তারা মাগুরা জেলা প্রশাসক ও মহম্মদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা না আসা পর্যন্ত সড়ক থেকে যাবে না বলে জানিয়ে দেন।এর কিছু সময় পর কিছু স্থানীয় লোকজন এসে হঠাৎ করেই ছাত্রদের হাত থেকে ব্যানার কেঁড়ে নিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। মাগুরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক সাদিয়া বলেন,তারা আমাদের হাতে থাকা ব্যানার কেঁড়ে নিয়ে যায়,আমাদের ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাদের কয়েকজন বোনের গায়ে হাত তুলেছে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক রাতুল শেখ জানান,গত ১৬ ডিসেম্বর মহম্মদপুর উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল,মাগুরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য এ্যাড:সাইফুজ্জামান শিখরের বোন জামাতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নিপীড়ন কারী শেখ রিজুকে অতিথি হিসেবে মঞ্চে রাখা হয়,এবং মহম্মদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনে নিহত শহীদ আহাদের মাকে পালাশ মন্ডল চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেন।তার বিচার ও ঐ ইউএনওকে অপসারণের দাবীতে আমাদের আজকের এই কর্মসূচি ছিলো।আমাদের ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েয়ে এবং আমাদের কয়েকজনকে হেনেস্তা করা হয়েছে, আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে দেখা করেছি, উভয় ঘটনা সম্পর্কে তিনাকে অবহিত করেছি,৪৮ ঘন্টার মধ্যে উভয় ঘটনার সুরাহা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:আইয়ুব আলী বলেন,ঐ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে, মামলা হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।