বিশেষ প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রাম সহ রাজধানী ও অন্যান্য বাজারও কাঁচাবাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতকালে সামাজিক অনুষ্ঠানের বাড়তি চাহিদা এবং মুরগির খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মুরগির দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার, বদ্দারহাট, পাহাড়তলী ষোল শহর দুই নাম্বার গেট সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতকালে সামাজিক অনুষ্ঠানের বাড়তি চাহিদা এবং মুরগির খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মুরগির দাম বেড়েছে।
এদিকে, আলু ও পেঁয়াজের দাম কমে আসায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ষোলশহর দুই নাম্বার গেট কর্ণফুলী কাঁচা বাজার মুরগি বিক্রেতা জানিয়েছেন, বর্তমানে সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা। গত সপ্তাহে এ দাম ছিল যথাক্রমে ৩০০ টাকা এবং ১৯০ টাকা।
দামের এই ঊর্ধ্বগতির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “পাইকারি বাজারে গেলে তারা বলে শীতে বাচ্চা মুরগি বেশি মারা যায়। পাশাপাশি খাদ্যের দাম বেশি। এছাড়া এই মৌসুমে বিয়ে-পিকনিকসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ে। ফলে মুরগির চাহিদা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে।”
রিয়াজউদ্দিন বাজার বাজারের খুচরা বিক্রেতা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে নতুন আলু প্রতি কেজি ৩৮ টাকা এবং আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কল্যাণপুরের বিক্রেতা মঞ্জুর ইসলাম জানান, দেশি নতুন আলুর দাম কমে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় নেমেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। পেঁয়াজের দামও ১০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় শাকসবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
বর্তমানে বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। মানভেদে বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নতুন আলু ও পেঁয়াজ বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসার কারণে এ দাম কমেছে। তাদের ধারণা, আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমবে।
Leave a Reply