বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামীর আয়োজনে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাগুরা নোমানী ময়দানে এক বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামীর আমির ডা:শফিকুল ইসলাম। এ সমাবেশে তিনি বলেন,দেশে কোন প্রকার ঘুষ,দূর্নীতি,অনিয়ম কাউকে করতে দেওয়া হবে না,তাহলে আপনারা হয়তো বলতে পারেন এই সামান্য বেতন দিয়ে আমরা কিভাবে বেঁচে থাকবো? হ্যা ইয়েস এটা সঠিক আপনাদের সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং বাংলাদেশ থেকে ঘুষ,দূর্নীতি দূর করতে বর্তমান মানবিক সরকারকে,সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকতে সরকারি ও অন্যান্য চাকুরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুবিধার সমন্বয় ঘটাতেই হবে।যারা অল্প টাকা বেতন পান তারা সেই টাকা দিয়ে বর্তমান দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিজ নিজ স্থান থেকে সম্মানজনক ভাবে যাতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।তাই তারা যাতে সম্মানজনক ভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বেঁচে থাকতে পারে পারে তা সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকারের মানবিক হতে হবে।তাদের এই সম্মানজনক সুবিধা না ঘটানোর ফলে,যারা এই ধারনের চাকরি করে অল্প টাকা বেতন পান,তারা যদি মানুষের কাছ থেকে দুই,চার পয়সা নেয়ও,সেটা তেমন অপরাধ বলে মনে করি না।কিন্তু যাদের কলমের এক খোঁচায় দেশের মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়,তাদের সম্মান জনক বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে,তাদের যদি বলা হয়,ডানেও নয় বামেও নয়,সামনে সিরাতল মুস্তাকিমের সোঁজা পথ দেখবেন,১তারিখের বেতনের টাকা তুলে খরচ চিন্তা করবেন,তাহলে সেটা অন্যায় হবে না। আমরা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই,দল নয়, ধর্ম নয়, সকল মানুষ সমান এই নীতির ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে।নারীদের প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজ পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী নারীদের দুইটি জিনিস দিতে পারেনি। একটি হচ্ছে সম্মান আরেকটি হচ্ছে নিরাপত্তা। আমরা কথা দিচ্ছি মায়েরা নিরাপত্তা এবং সম্মানের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতি গঠনে তারাও সমানতালে অবদান রাখবেন।অনেকে বলেন আমরা নারীদের কোনঠাসা করে ঘরের ভিতরে রাখব। না বরং রাসূল (স:) সকল কর্মক্ষেত্রে যেমন তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন আমরাও সেভাবে তাদের প্রতি চরম সম্মান রেখে সেই ব্যবস্থা করে দেবো ইনশাআল্লাহ।এই দেশে একজন মা, তিনি ঘরের ভিতরে থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবেন মর্যাদা প্রাপ্ত। তার যদি প্রয়োজন হয় সামাজিক ক্ষেত্রে বা কোন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের, সেই দক্ষতা-যোগ্যতা যদি তার থাকে তবে তিনি অবশ্যই যোগ্য জায়গায় পৌঁছে যাবেন। লড়াই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সামনে এখনো অনেক লড়াই রয়ে গেছে। আমাদের সন্তানরা ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’ যে স্লোগান দিয়েছে আমরাও সেই একই স্লোগান দিব। সেই যুদ্ধে আমরা সবাই নিজের জন্য ও প্রিয় দেশের জন্য শরিক হব। দেশ যদি ভালো থাকে আমরাও ভালো থাকব। দেশ যদি ভালো না থাকে আমরাও ভালো থাকব না।”
আর তাই সবাই হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীতে বৈষম্যহীন সমাজ গড়াতে হবে।
মাগুরা জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যাপক এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদ আহমেদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর জেলা শাখার সাবেক আমীর আজিজুর রহমান, মাগুরা জেলা শাখার সাবেক আমীর আব্দুল মতিন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমীর ড. আলমগীর বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য মওলান বদরুউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
মাগুরা সম্মেলনে যোগদানের আগে ফরিদপুর, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, বোয়ালমারী, মধুখালী ও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিসহ আশপাশের এলাকার জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এসব পথসভায় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তিনি।
Leave a Reply