নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে এলাকায় প্রথমে সমাবেশ, পরে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদধারী নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন নড়াইল জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান, কৃষকদলের আহবায়ক নবীর হোসেন, শ্রমিকদলের সভাপতি সাঈদুজ্জামান আমল, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তারিকুল ইসলাম পিয়াল, সদস্য সচিব আরিফুল আকবর লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন, নড়াইল পৌর বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ আগস্ট নড়াইলে ছাত্র-জনতার মিছিল হামলার ঘটনায় হওয়া মামলা নিয়ে অর্থ বাণিজ্য করেছেন মনিরুল। টাকার বিনিময়ে প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়েছেন। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে প্রভাব খাটিয়ে দুইটা ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে সম্মেলন করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিগুলোতে আওয়ামী লীগের লোকজনকে ঢুকিয়েছে।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী মিঠাপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমানকে নলদী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বানিয়েছেন। কৃষকদলের খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করিয়েছে। পৌর বিএনপির নির্বাচনে মনিরুল নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে টাকার বিনিময়ে ভোট কিনিছেন।
তারা আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের পর মনিরুল ও তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন স্থান থেকে বাণিজ্য করেছেন। সেই কালো টাকা পৌর বিএনপির সম্মেলনে ব্যয় করেছেন। তাই মনিরুলকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই। নড়াইলের ৯৫ শতাংশ বিএনপি চাই সম্মেলনের আগে তাকে বহিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে মনিরুলের বহিষ্কারের জন্য শত শত লোক প্রাণ দিয়ে দেবে।’
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মনিরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply