সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর থানার কর্মরত এ এস আই খাইরুলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌরসভার মেডিক্যাল মোড় থেকে মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারী লিটন (৩৬) পিতা মৃত: এন্তাজ আলীর পুত্রকে আটক করার পর ঘটনাস্থলে রফাদফা হয় বলে দাবি করছেন সেখানকার স্থানীয় অনেকেই।
জানা যায়, গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তানোর থানার এ এস আই সহ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রওনা হন মাদক কারবারিদের উদ্দেশ্য। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে তানোর পৌর সদরের আমশো মেডিকেল মোড়ে অভিযান চালিয়ে এসময় মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র লিটন আলীকে পেয়ে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ২০ পুরিয়া হেরোইন ও ২ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক করার পর পুলিশ সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সেখানকার স্থানীয়রা। জানা যায় স্থানীয়দের দাবিতে পুলিশ মাদক সেবনকারীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এলাকাবাসী জানান, পুলিশের এই ঘুষ লেনদেনের ঘটনা আমরা অবগত না। এবিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে এ এস আই খাইরুলকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি মটরবাইক্ এ আছি। পরে ফোন দেন।
পরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান বলেন,“আমি বিষয়টি জানি না। সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তিনি আরও বলেন অনেক সময় জনগণের দাবি আমাদের মানতে হয়, কারন জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস বলে জানান তিনি।