1. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  2. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  3. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাজশাহী তানোরে দাদন ব্যবসায়ীর লাঞ্ছনা সইতে না পেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রাণ করে আত্মহত্যা আত্রাই নদের অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ লুটের অভিযোগে রিংজাল জব্দ অশান্ত সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন, নেপথ্যে নিউটন গাজী, পুঠিয়ায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খেজুর গাছে ধাক্কা-নি*হ*ত ১ সাঁথিয়ায় যুবলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা রাজশাহীর তানোরের শিব নদের নাব্যতা সংকট মোহনপুর উপজেলা পরিদর্শনে যুগ্মসচিব পারভেজ রায়হান নওগাঁয় নাতনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারী বাবা আটক মায়ের সহযোগিতায় নড়াইলে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণ ও প্রতারণার অভিযোগ
শিরোনাম:
রাজশাহী তানোরে দাদন ব্যবসায়ীর লাঞ্ছনা সইতে না পেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রাণ করে আত্মহত্যা আত্রাই নদের অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ লুটের অভিযোগে রিংজাল জব্দ অশান্ত সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন, নেপথ্যে নিউটন গাজী, পুঠিয়ায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খেজুর গাছে ধাক্কা-নি*হ*ত ১ সাঁথিয়ায় যুবলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা রাজশাহীর তানোরের শিব নদের নাব্যতা সংকট মোহনপুর উপজেলা পরিদর্শনে যুগ্মসচিব পারভেজ রায়হান নওগাঁয় নাতনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারী বাবা আটক মায়ের সহযোগিতায় নড়াইলে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণ ও প্রতারণার অভিযোগ

পিকনিক বাসের সাউন্ড বক্সের শব্দ দূষণে বিপাকে শেরপুরের সিমান্তবাসিরা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, স্টাফ রিপোর্টার।

 

শেরপুরের গারো পাহাড়ে পিকনিক বাসের সাউন্ড বক্স ও হর্ণ শব্দ দূষণে জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। সাউন্ড বক্সের শব্দে পর্যটন কেন্দ্রে আগত সাধারন ভ্রমন পিপাসু,পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীর পাশাপাশি, আসপাশের এলাকায় বসবাসকারিদের টিকে থাকাটাই দায় হয়ে পরেছে। জানা গেছে, এককালে গারো পাহাড়ের বনাঞ্চলে নানা প্রজাতির পশুপাখি ও জীবজন্তুর অভায়ারন্য ছিল। প্রতিবছর শীত মৌসুমে অতিথি পাখিরও আগমন ঘটতো এ গারো পাহাড়ের খালবিল, ঝর্না ও জলাশয়গুলোতে । পশুপাখির কোলাহলে মুখরিত ছিলো গারো পাহাড়। কিন্তু কালের বিবর্তনে বনের জমি বেদখল,পাহাড় থেকে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন ও বনাঞ্চল উজাড় হওয়ার পাশাপাশি নানা কারণে গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ও আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও থেকে ঝিনাইগাতী হয়ে শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোড়া পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ৩০ হাজার একর বনভুমিতে রিজার্ভ ফরেষ্টের শালগজারী, ঐষুধি বৃক্ষসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির প্রাকৃতিক বৃক্ষে ভরপুর ছিল গারো পাহাড়। পরিবেশবিদ ও স্থানীয়দের মতে ওই সময় পশুপাখি, নানা প্রজাতির প্রাণী ও জীবজন্তুর কোলাহলে গারো পাহাড় ছিল মুখরিত। ছিল পশুপাখি ও জীবজন্তুর অভায়রন্য। কিন্তু প্রাকৃতিক বন উজাড়, বনের জমি বেদখল, বনের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত নদী নানা ঝর্ণা ও জলাশয় থেকে বালু পাথর উত্তোলনসহ নানা কারনে গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন। জানা যায়, ৯০ দশকের পর গারো পাহাড়ে বসবাসকারি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামাজিক বন সৃজনের কাজ হাতে নেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে সল্প সময়ে বর্ধনশীল বিদেশি প্রজাতির উডলড বাগান সৃজন করা হয়। অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে এসব উডলড বাগান সৃজনে অংশিদারগন লাভবান হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হয় বন বিভাগ। স্থানীয়রা জানান বিদেশি প্রজাতির এসব উডলড গাছে কোন পশুপাখি পর্যন্ত ও বসে না। ফলে সেসময় থেকে বিলুপ্তি ঘটতে থাকে গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য। শুধু তাই নয়, সামাজিক বনের অংশিদারদের মাধ্যমেই বনের জমি বেদখলের প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে,বনবিভাগ সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার একর বনের জমি জবরদখলদারদের হাতে বেদখল হয়েছে। সংকুচিত হয়ে পরেছে বন ও বনভূমি। এছাড়া ৯০ দশকের পর থেকে গারো পাহাড়ের মধুটিলা ইকোপার্ক, ও গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্র নামে ২ টি পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে। গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রন করে জেলা প্রশাসন। মধুটি ইকোপার্ক নিয়ন্ত্রন করে বনবিভাগ। এসব পিকনিক স্পট গুলোতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে গারো পাহাড়। যদিও এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসে কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব । এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে হয়েছে অনেকের কর্মসংস্থানের ও ব্যবস্থা। সারাদেশে বেড়েছে শেরপুরের গারো পাহাড়ের পরিচিতি। কিন্তু বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আগত শতশত পিকনিক বাসে থাকা সাউন বক্স ও বাসের বেপরোয়া হর্ণ শব্দ দূষণে পরেছে গারো পাহাড়। প্রতিনিত গারো পাহাড়ে চলছে এখন গাড়ির হর্ণ ও সাউন্ড বক্সের শব্দ দূষণ। এতে পর্যটন কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের পাশাপাশি গারো পাহাড়ে বসবাসকারিরা রয়েছেন চরম বিপাকে। এ অবস্থা চলছে গারো পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে হর্ন বাজানো নিষেধ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হলেও এর কোন বাস্তবায়ন নেই। উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে এসব শব্দ দূষণ রোধে কোন প্রকার উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে না। ফলে দিনেদিনে গারো পাহাড়ের অবশিষ্ট জীব বৈচিত্র্যও এখন হুমকির সম্মুখীন। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো,রফিকুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই মানছে না পর্যটকরা। তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে শব্দ দূষণ রোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। বনবিভাগের রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো, আব্দুল করিম বলেন,গজনী বিনোদন কেন্দ্রটি পরিচালিত হয় জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনাধীন। তিনি বলেন শব্দ দূষণে গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বনবিভাগের পক্ষ থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বনবিভাগের এতো লোকবল নেই শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করার মতো। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো,আশরাফুল আলম রাসেল বলেন বিনোদন কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়ার পরেও পর্যটকরা তা মানছে না। তিনি বলেন এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD