সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ের গার্ডসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাদের রাজশাহী রেলওয়ে থানায় রাখা হয়। বিকেলে ভুক্তভোগী যাত্রীর দায়ের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, ঢাকা-রাজশাহী রুটের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আলী আজম, অ্যাটেনডেন্ট মনছেহার আলী ও আল-আমিন।
ভক্তভোগি যাত্রীর নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী যান।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, ভুক্তভোগী সেনাসদস্য গ্রেপ্তার তিনজনের নাম উল্লেখ করে ৮ জন রেলকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলায় অভিযোগের বরাদ দিয়ে পুলিশ আরও জানায়,
ইসমাইল হোসেন বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহী আসছিলেন। আসন না পাওয়ায় তিনি আসছিলেন স্ট্যান্ডিং টিকিটে। শারীরিকভাবে অসুস্থ ওই সেনা সদস্য রেলওয়ের কর্মীদের অনুরোধ করেছিলেন তাকে বসানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু রেলকর্মীরা তাকে বসানোর ব্যবস্থা করেননি।
কিন্তু ওই সেনাসদস্য লক্ষ্য করেন, বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার কাছে স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকলেও তাকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। ট্রেনে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় রেলওয়ের কর্মীরা তাকে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করেন।
রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী আসার পর প্ল্যাটফর্মে নেমে আবার ওই সেনাসদস্যকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। এরপর রেলওয়ের ওই কর্মীরা চলে যান। খবর পেয়ে রাতেই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ময়েন উদ্দিন জানান, সকালে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ডিউটির জন্য রেলওয়ের গার্ড এবং অ্যাটেনডেন্টরা স্টেশনে আসেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যান। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করে সেনাবানিহী। স্টেশন থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।