মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, স্টাফ রিপোর্টার।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৪ ছেলে মেয়ে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে সখিনা বেগম। সখিনা বেগম (৪২) উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তাদের । জানা গেছে, সখিনা বেগম সরকারি ২ শতাংশ জমির উপর ছোট্ট একচালা টিনের একটি ছাপড়া ঘরে বসবাস করতেন স্বামীসহ সন্তানদের নিয়ে। সে ঘরটি ও বসবাসের অনুপযোগী। রৌদ্রের তাপে ও বৃষ্টির সময় ঘরে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। স্বামী আব্দুল্লাহ দিনমজুরি করে যা পেত তাই দিয়ে কোনরকমে চলতো তাদের সংসার। গত ৫ বছর পুর্বে সখিনা বেগমের স্বামী আব্দুল্লাহ’র মৃত্যু হয়। আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর পর ৪ সন্তানের ভরনপোষণের দ্বায়িত্ব পরে সখিনা বেগমের ঘারে। সখিনা বেগম দিনমজুরি করে ৫ সন্তানসহ ৬ সদস্যদের পরিবারের ভরনপোষণ যোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন। সখিনার ভাগ্যে জুটেনি সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। সখিনা বেগম জানান দিনমজুরি করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। এক বেলা খাবার জুটলে আরেক বেলায় নেই। আবার একদিন কাজে না গেলে সেদিন তাদের ঘরে চুলা জ্বলে না। সেদিন তাদের থাকতে হয় অনাহারে অর্ধাহারে। সখিনা বেগম জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার গত ৫ বছরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সরকারি সাহায্য সহযোগিতার বহুবার গিয়েছেন। কিন্তু তার ভাগ্যে জুটেনি কোন সাহায্য সহযোগিতা। আর্থিক সংকটের কারনে সখিনা বেগম তার সন্তানদের পড়াশোনাও করাতে পারছেন না । অতিকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন পরিবারটি। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গোমড়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও সখিনা বেগমের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিনও সখিনা বেগমের বাড়িতে চুলা জ্বলেনি। পাশের জুনাব আলীর দেয়া একজনের খাবারের সমান ভাত এনে সবাই মিলে খাচ্ছিনেন। এ ব্যাপারে নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি দেখভাল করার কথা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। বিষয়টি পরবর্তীতে তিনি দেখবেন বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি একটি ঘরের জন্য সখিনা বেগমকে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
Leave a Reply