সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো: লুতফর খরচ ছাড়া কোন কাজ করেন না তিনি এমনি অভিযোগ করেছেন মাটিকাটা ইউনিয়নের জামাদারনি এলাকার মিলন নামের একজন ভক্তভোগী। তিনি বলেন আমানত পুর মৌজাই জেএল নং- ২৬৯,আরএস খং নং-২৮ দাগ নং-১৪৪,পরিমাণ ১.৬৬ একর কাত ০.৬২৫০ তফসিলভুক্ত সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া নিজ নামে নামজারি করি কিন্তু বিবাদীগন দখল না ছাড়িলে আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭/১২/২৪ ইং তারিখে দলিল যাচাই এর জন্য বড়গাছি ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহঃ কর্মকর্তা মো: লুতফর রহমানকে চিঠি করেন গোদাগাড়ী ভূমি অফিস।
কিন্তু দলিল যাচাই করতে হলে মিলনকে মোটরসাইকেলে করে লুতফর রহমানকে রাজশাহী সদর সাব-রেজিস্টার অফিসে নিয়ে যেতে হচ্ছে এবং এর জন্য তাকে টাকা খরচ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জমি বুঝে পাওয়ার আশায় তিনি একের পর এক দৌড়াচ্ছেন গোদাগাড়ী উপজেলা ভূমি অফিস, বড়গাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং রাজশাহী সদর সাব-রেজিস্টার অফিসে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি নেই, উল্টো বাড়তি খরচের চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী মিলন প্রশ্ন তুলে বলেন “সরকারি সেবা পেতে কেন বাড়তি খরচ দিতে হবে? এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি কোথায়?”
এই বিষয়ে মোবাইল ফোন করা হলে লুতফর রহমান জানান, “খরচ ছাড়া হবে না কাজ! কাজ করলে খরচ দিতে হবে! এ বিষয়ে এসিল্যান্ড স্যারের কাছে অভিযোগ দিতেচাইলে তিনি বলেন কোন সমস্যা নাই দিতে পারেন। গোদাগাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম এর কছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি হবার কথা না তবে এই রকম কিছু হয়ে থাকলে বিষয়টা আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply