বেরোবি প্রতিনিধি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট আইন করে রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর রাজনৈতিক সংগঠনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকলেও সেই আইনকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে দাপটের সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড.ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সিটিউটের রিসার্চ অফিসার ড. রোকনুজ্জামান রোকন গবেষণার চেয়ে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় । এমনকি হয়েছেন জিয়া পরিষদ রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ২০০৯ সালের ২৯ নম্বর আইনে চাকরির শর্তাবলী ৪৭ এর (৪) এ উল্লেখ আছে, ‘কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হইতে পারবেন না।’ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই জিয়া পরিষদের পদ নিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য ড.শওকাত আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে কেউ রাজনীতিতে যুক্ত হলে কি শাস্তি দেয়া হবে তা এখনও নির্ধারন করা হয় নি।
ড. রোকনুজ্জামানের ফেইসবুকে দেখা যায়, গত ৫ আগস্টের পূর্বে কোন ধরনের রাজনীতিতে যুক্ত বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেইসবুকে কোন পোস্ট দেখা যায়নি তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতিতে সরব হন এ কর্মকতা সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলে রাজনীতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন এ কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করেই রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
গবেষণা কর্মকর্তা ড.রোকনুজ্জামানের গবেষণার কর্মকাণ্ড জানতে বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট গিয়ে কোন গবেষণা পাওয়া যায় না, এছাড়া রিসার্চ গেইট বা অন্য কোন গবেষণার ওয়েবসাইটেও কোন গবেষণা কর্মকাণ্ড পাওয়া যায় নি।
তবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ কর্মকর্তার এক ফেইসবুক পোস্টে দেখা যায় কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভুল্যারহাটে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে পদযাত্রা ও উন্মুক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ও এ কর্মকর্তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রোকনুজ্জামান বলেন,জিয়া পরিষদ কোন রাজনৈতিক সংগঠন না। এটা একটা পেশাজীবী সংগঠন। বিএনপির কোন অঙ্গ সংগঠন না।
আর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে পদযাত্রা এবং আলোচনার শোভা করার বিষয়ে তিনি বলেন,এটা এলাকার লোকজনের সাথে আমি গেদারিং করি। যেটা আগে থেকেই আমি করি।তাদের সাথে চা খাই ,কথা বলি।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড.শওকাত আলী বলেন, কে কি রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত আছে সেটা তো আমার জানা নেই। তবে রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন এমন কাউকে পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply