সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে মুঠোফোনে পরিচয় ও প্রেম অতঃপর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে খাইরুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) সরনজাই কাচারিপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ আলীর পুত্র খাইরুল ইসলামের (২০) মুঠোফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩ মার্চ সোমবার রাতে ওই নারীকে খাইরুল বাড়ির পাশে ডেকে আনে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় পরের দিন তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে খাইরুল গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার রাতে ঘটনার সময় স্থানীয়রা খাইরুলকে আটক করেন। কিন্তু কাচারিপাড়া গ্রামের আনসার আলীর পুত্র আলামিন এসে আপোষ-মিমাংসার কথা বলে খাইরুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি ধর্ষণের আলামত ভিকটিমের (মুঠোফোনের ছবি ও ভিডিও) ডিলেট করে দেন।
এদিকে থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে ওই নারী ও তাঁর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে খাইরুলের লোকজন। স্থানীয় প্রভাবশালীরাও মীমাংসার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, স্বামী পরিত্যক্ত ওই নারীর অভিযোগ আমলে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। খাইরুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।