বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), রংপুর-এর কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এর আগে, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের ১৯তম সভায় তার পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের গবেষক ছিলেন। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ‘আল কুরআনে সময় ও সংখ্যা প্রসঙ্গ’। তার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আ.ব.ম. সাইফুল ইসলাম সিদ্দীকী।
তার গবেষণা পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হামিদ এবং বহির্বিশ্বের বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান।
এর আগে, ২০১৪ সালে তিনি একই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ‘আল-কুরআনে উদ্ভিদ: একটি পর্যালোচনা’ বিষয়ে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
জানা যায়, ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে বিটিআইএস (অনার্স) এবং এমটিআইএস (থিসিস গ্রুপ) উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে টাঙ্গাইল দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগ থেকে থেকে হিফজুল কুরআন সম্পন্ন করেন এবং ২০০২ সালে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর, ঢাকা থেকে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার কচুয়াডাঙ্গা (স্বদেশ রোড) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছানা উল্লাহ ও রাশেদা বেগমের ছেলে। তার এই গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে।
মসজিদের ইমাম হয়েও কিভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, হিফজ সম্পন্ন করার পর কওমি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পাশাপাশি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পর আমার পড়া-শুনার আগ্রহ আরোও বেড়ে যায়। পিতা মাতার দু'আ এবং শিক্ষকদের দু'আ ও উৎসাহে আমি অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হই। যার ফলে পরবর্তীতে এমফিল এবং আজকের এই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একজন হাফেজে কুরআন হয়ে মাদরাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি এবং সেখান থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করা যায় এ থেকে দেশের অন্যান্য হাফেজে কুরআন, কওমী এবং আলিয়া মাদরাসার আলেমগণ উদ্বুদ্ধ হয়ে দীনের সেবক ও দেশের জন্য খেদমত করলে আমার এ অর্জন পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।