নিজস্ব সংবাদদাতা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রক্তক্ষয়ী রূপ নিচ্ছে। সোমবার বিকেলে দলীয় কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে তার প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিশোধ নিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুহুল আমিন, এবাদুল্লাহ গাজী, আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১৫ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তবে গতকাল নিহতের ও সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা করেনি। হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজ একে অপরকে দায়ী করছেন।
প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিশোধ নিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুহুল আমিন, এবাদুল্লাহ গাজী, আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১৫ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তবে গতকাল নিহতের ও সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা করেনি। হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজ একে অপরকে দায়ী করছেন।
প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিশোধ নিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুহুল আমিন, এবাদুল্লাহ গাজী, আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ১৫ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তবে গতকাল নিহতের ও সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা করেনি। হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজ একে অপরকে দায়ী করছেন।
জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি উপজেলার ২ নম্বর ইউনিয়নের চরঘাষিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্পেন প্রবাসী ছিলেন। গত দুইদিন আগে গদলা চিংড়ি পোনা ধরার মাঝিদের কাছ থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ হামলার ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এই ঘটনা আরও অন্তত ২০ জন আহত হন।
আজ সকাল থেকেই নিহতের গ্রুপের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা অন্তত ১৫টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভাঙচুর করে আসবাবপত্র এবং লুট করে মালামাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কৃষক দলের সদস্য সচিব জি এম শামীম গাজীর নেতৃত্বে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার সময় অনেক বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিল। তারা প্রাণে বাঁচতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রায়পুর থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজনৈতিক এই সহিংসতা বন্ধে স্থানীয়দের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।