এস এম-নুর
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে নারী কর্মকর্তারা তাদের স্বস্ব যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন তারা সরকারি কাজের ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে তুলনামূলক ভাল করছেন।
প্রশাসনিক এসব শীর্ষ পদে তারা সরকারের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সচেষ্ট থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কেউ কেউ প্রশংসা পত্রও পেয়েছেন।
পিরোজপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিনিয়র কর্মকর্তা) পদে রয়েছেন রেবেকা খান। এ জেলায় তিনি কয়েক বছর অবস্থান করায় জেলা পরিষদের ভাবমূর্তি পূর্বের তুলনায় আরও বেশী অক্ষুন্ন রাখতে স্বচেষ্ট রয়েছেন বলে মনে করেন পরিষদের অনেকে। দাপ্তরিক কাজের প্রতি গতিশীলতা আনতে তিনি তৎপর রয়েছেন তার অবস্থানে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদে রয়েছেন নারী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন। তিনি তার স্ব দায়িত্বে আশীন হবার পর থেকেই সরকারি কাজের বিভিন্ন স্তরে মূখ্য ভূূমিকা পালন করায় প্রশংসিত হয়েছেন ইতোমধ্যে। নারী জাগরনে তিনি সচেষ্ট ও গুরুত্বপূর্ন দ্বায়িত্ব পালন করায় নারী সমাজের কাছেও প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন।
জেলা প্রশাসনের আরেকজন নারী কর্মকর্তা মাধবী রায়। তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের (এডিএম) দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ পদে তিনি যোগ দেয়ার পর বিভিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে তার দক্ষতার প্রমান রেখেছেন।
অন্যদিকে জেলার সাতটি উপজেলার পাঁচটি উপজেলারই দ্বায়িত্বে রয়েছেন পাঁচজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চারজন সহকারি কমিশনার (এসিল্যান্ড-ভূমি)। এসব নারী কর্মকর্তাগন তারা প্রত্যেকেই স্বস্ব অবস্থানে থেকে সরকারি কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতার ছাঁপ রাখতে স্বচেষ্ট রয়েছেন।
এরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম জাহান ও ফরজানা আক্তার (সহকারি কমিশনার)। ইন্দুরকানি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে রয়েছেন লুৎফুন্নেসা খানম ও মৌসুমি নাসরিন (সহকারি কমিশনার)। ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে সীমা রানি ধর ও রুমানা আফরোজ (সহকারি কমিশনার)।
অপরদিকে, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ খালেদা খাতুন রেখা, যিনি করোনাকালীন সময় এক করোনা রোগী মৃত্যুবরন করায় তিনি স্বউদ্যোগে দ্বায়িত্ব নিয়ে মৃত ব্যাক্তির দাফনসহ সকল কাজ সম্পাদন করায় বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছেন। এ উপজেলায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন জান্নাত আরা তিথী। জেলার মঠবাড়িয়া উপজলোর নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন উর্মি ভৌমিক, তিনিও এখানে যোগদানের পর থেকে সরকারি কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই এ সব নারী কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তাদের কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে যে ভাবে যায়গা করে নিয়েছেন, তেমনি প্রশাসনের উচ্চ মহলেও তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তারা বদ্ধ পরিকর।
পিরোজপুর সংবাদদাতা
Leave a Reply