নিউজ ডেস্কঃ
মূল্যস্ফীতির কারণে বেতন বাড়ানোর চাপ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এতে চাপ বাড়বে সরকারের। তাদের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হলে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যেতে পারে। দুপুরে রাজধানীতে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন-ইআরএফের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতিসুদ হার বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রথমেকরোনা তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। লাগামহীন বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের বিপরীতে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়ন হয়। যার প্রভাবে গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশ ছাড়ায়। সবশেষ জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় সরকার। এতে বাজারে আরেকদফা বাড়তি নিত্যপণ্যের দাম।
ইআরএফ আয়োজিত আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা বলেন, আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি দশ শতাংশ ছাড়াতে পারে। এতে চাপ তৈরি হবে বেতন বৃদ্ধির। তাদের মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উপায় নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে। অর্থনীতিবিদদের অভিযোগ, সংকটের আভাস মিললেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। ফলে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে।
তবে অর্থনীতিবিদদের এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তারা জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, আশঙ্কা প্রকাশেই দক্ষ দেশের অর্থনীতিবিদরা।
বৈঠকে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন ব্যবসায়ী নেতারা। বলেন, সরকার ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে অবনতি হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, সরকার আইনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম করছে।
Leave a Reply