সাব্বির আহমেদ হৃদয়
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে মাছ ধরার অন্যতম উপকরণ খৈলশুনি বা চাঁই বিক্রির হাটগুলো জমে উঠেছে।
চাটমোহরের সর্ববৃহৎ অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) হাট ঘুরে দেখা গেছে, রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেলওয়ে খেলার মাঠে সরগরম খৈলশুনির হাট। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ হাটে খৈলশুনি বেচাকেনা চলে।
এ ছাড়া চাটমোহরের ছাইকোলা, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাট, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড়, রায়গঞ্জের নিমগাছি, বড়াইগ্রামের জোনাইলসহ চলনবিলের অন্যান্য হাটে খৈলশুনি খুচরা ও পাইকারী বিক্রি হয়।
বর্ষায় খেতে কাজ না থাকায় চলনবিল অঞ্চলের মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাই বর্ষায় খৈলশুনির কদরও বেড়ে যায়। মাছ ধরার এ উপকরণ সারাবছর বিক্রি হলেও বর্ষা মৌসুমে চাহিদাবেড়ে যায়।
চাটমোহরের ধরইল মৎস্যজীবি পাড়ার রফিক জানান, খৈলশুনি তৈরি তার পৈত্রিক পেশা। মাছও ধরেন তিনি। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খৈলশুনি তৈরি করেন তিনি। রফিকের মতো ধরইল মৎস্যজীবি পাড়ার শতাধিক পরিবার খৈলশুর তৈরি করে বিক্রি করেন। প্রতি জোড়া খৈলশুনি বিক্রি করে ১০০ টাকার বেশি লাভ হয়। বাঁশের খিল আর তালের ডাগুরের আঁশ দিয়ে খৈলশুনি তৈরি করা হয় বলে জানালেন মৎস্যজীবি ওম্বর আলী।
মৎস্যজীবিরা জানান, এখন বিল ও নদীতে অবৈধ চায়না দুযারি জালের কারণে খৈলশুনির চাহিদা কমে গেছে। চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে বিল ও নদীর সব ধরণের মাছ ধরা হচ্ছে। অল্প পানিতেও পেতে রাখা হচ্ছে মাছ মারার এই ফাঁদ। চায়না দুয়ারির কারণে দেশী প্রজাতির সকল মাছ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অনেকে খৈলশুনির পরিবর্তে চায়না জাল কিনে মাছ ধরছেন।
Leave a Reply