বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছা থাকলেও মহাদুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে অনেক অগ্রাধিকার প্রকল্প ।
এই দুর্নীতি আর অনিয়মে মুখ থুবড়ে পড়েছে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন এর সোলার ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। কথা ছিলো বিদুৎ এর উপর চাপ কমাতে গ্রামের সড়কে আলো ছড়াবে, আসল ঠিকাদারের পরিবর্তে সাব-ঠিকাদার,চড়া দাম দেখিয়ে লাগানো হয়েছে নিম্নমানের সৌর সড়ক বাতি। এই অনিয়ম আর দুর্নীতির গন্ধপেয়ে অনেক নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিবাদ বা মুখ খুললে কথায় কথায় তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তকরাসহ দেয়া হয়েছে হুকমি।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন পল্লী দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন ( পিডিবিএফ) ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পগুলোর পদে পদে হয়েছে দুর্নীতি আর নয় ছয়।এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ মিডিয়া পাড়ায় হৈ চৈ পড়লেও কোন কিছু কানে নিচ্ছেন না খোদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মওদুদউর রশীদ সফদার। ইতিমধ্যে তার দুর্নীতি,আর্থিক অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতা ও দুঃশাসনের সাতকাহন নিয়ে শ্বেতপত্র ও শ্বেতপত্র-২ নামে বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত বিভিন্ন দপ্তরে জমা পড়েছে। উল্লেখ্য ২০/১২/২০২০ তারিখ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মাওদুদউর রশীদ সফদার যোগদান করেই নানা অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি,আর্থিক অনিয়মে জড়িত হন। একক সাব ঠিকাদার দিয়ে গৃহীত ৫ টি প্রকল্পের প্রায় শত কোটি টাকার দুর্নীতি। পক্ষপাতিত্ব জঘন্য দৃষ্টান্ত হলো ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক (ক্রয় ও সেবা) মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকির বিরুদ্ধে তার ক্রয়ের দুর্নীতির খবর পত্রিকায় সিরিজভাবে ছাপা হলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকে আস্থাভাজন হওয়ায় কোনরূপ তদন্ত বা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অর্থ আত্মসাতের দায়ে সরকার কর্তৃক বিভাগীয় মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই-দইবার চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা বজলুর রশীদ এর আপীল বোর্ড কর্তৃক আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এবং হাইকোর্টের আপীল বিভাগে মামলা চলমান থাকা সত্বেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনৈতিক উপায়ে চাকুরী পুর্নবহালে দুর্নীতিপরায়ণ বজলুর রশীদকে নিয়ে গোপন মিশনে নেমেছেন।
পল্লী দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক মওদুদউর রশীদ সফদার তার দুর্নীতির সকল কর্মকান্ড জায়জ করতে বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রলোভনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিজ করায়ত্ব করে কার্যসিদ্ধিতে জড়িত থেকে পল্লী দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের স্বপ্নকে ধ্বংস করার পায় তারা করছেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন এর অফিস দপ্তরে সচিব ও আস্থাভাজন পরিচালকদের নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এখবর শুনে চাকুরি বরখাস্ত কর্মচারীরা কোটালিপাড়ায় মানববন্ধন করেন। চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা বলেন আমরা কেউ কেউ ১৫ থেকে ৩০ বছর ধরে পিডিবিএফ এ চাকরী করছি।
বর্তমান মহাপরিচালক আমাদের বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদে চাকুরীচ্যুত করছেন আমরা চাকরী হারিয়ে বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে কোন রকম দিনাতিপাত করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ তার স্বপ্নের পল্লী দরিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প যেন মুখ থুবড়ে না পরে। আমরা আমাদের চাকরি ফেরত চাই। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই নইলে আমাদের পরিবার নিয়ে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবে না।
Leave a Reply