এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে আমন ধানে হঠাৎ করে পাতা পোড়া রোগে আক্রান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। অথচ আমন ধানের রোগ বালাই নিয়ে মাঠে দেখা পাচ্ছে না কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকি। ফলে আমন ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তানোর উপজেলার আমন চাষীরা। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর আমন ধানের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে এমন পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে আমন ধান। কৃষকরা সকাল বিকেলে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কোন সুফল পাচ্ছে না আমন ধানে। এতে করে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকরা। মাদারীপুর গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, এবার আমন চাষের মৌসুম থেকে কৃষকদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরমে।
গত বারের চাইতে এবার আমন চাষের সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি,সেই সাথে সংকট পড়ে সার পটাশের। তাঁর পরেও কৃষকরা যেভাবেই হোক সার পটাশ পানি কিনে হোক আর পুকুর থেকে স্যালোমেশিন দিয়ে হোক সেচের ব্যবস্থা করে আমন ধান চাষ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ধানে পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পুড়ে যাচ্ছে ধানের পাতা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। জানা গেছে, আমন ধানে পচন ও কারেন্ট পোকা এবং পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও কৃষকের মাঝে কোন প্রকার পরামর্শ দিতে কৃষি অফিসের কোন উপসহকারী কর্মকর্তাদের দেখা পাচ্ছেনা কৃষকেরা। যার কারণে কৃষকরা বাজার থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির নকল কীটনাশক বিষ জমিতে স্প্রে করে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের কৃষক মতিন বলেন,বাজারে যেভাবে নামি-দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল কীটনাশক বোঝা বড় দায় কৃষকের। বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম দিয়ে নকল কীটনাশক বিষ বিক্রি করে করা হচ্ছে কৃষকের সর্বনাশ। তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply