নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বাকসাডাঙ্গা ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর কাজী ও তার ছেলে নাইম কাজীর বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সরোজমিনে তুলারামপুর ইউনিয়ন ও বাগসাডাঙ্গা এলাকাঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়,
বর্তমান মেম্বার জাহাঙ্গীর কাজী ছিলেন তুলারামপুর ইউনিয়নের এক সময়ের শীর্ষ মাদক সম্রাট। তার নামে মাদক মামলা ছিল একাধিক, জেল ও খেটেছেন অনেক দিন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাদক বিক্রির টাকা খরচ করে হয়েছেন মেম্বার।
এখন মেম্বারের ছেলে নাইম কাজী হয়েছেন বাকসাডাঙ্গা এলাকার শীর্ষ মাদক বিক্রেতা।মেম্বার পিতার ছত্র ছায়ায় ও সহযোগীতায় ছেলে এখন অপ্রতিরোধ্য।
ইয়াবা গাঁজা ফেন্সিডিল বিক্রি করে বাপ ছেলের আয় এখন মাসে লাখ লাখ টাকা ।
বাকসাডাঙ্গা গ্রামের পাশেই মিনা বাজার হচ্ছে বাপ ছেলের মাদক বিক্রির হট স্পট।এখান থেকেই মাদক বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করেন নাইম কাজী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুলারামপুর ইউনিয়নের একজন জানান, জাহাঙ্গীর ছিল তুলারামপুর ইউনিয়নের শীর্ষ মাদক কারবারি। তার নামে ছিল একাধিক মাদক মামলা,মাদক মামলায় একাধিকবার জেল ও খেটেছে জাহাঙ্গীর। গত ইউপি নির্বাচনে বাকসাডাঙ্গা থেকে জাহাঙ্গীর মেম্বার নির্বাচীত হওয়ার পর তার ছেলে নাইম কাজী মাদক বিক্রির দায়ীত্ব নিয়েছে। আর তার মেম্বার পিতা মাদক বিক্রিতে সব সময় তাকে সহযোগীতা করে।
বাকসাডাঙ্গা গ্রামে এখন বাপ ছেলের মাদক ব্যবসা জমজমাট। এলাকার যুবসমাজ মাদকের ছোবলে ধ্বংসের পথে।
বাপ বেটার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কারো নেই, কারন তাদের রয়েছে নেশাখোর সন্ত্রাসী বাহিনী।মুখ খুললে তার আর নিস্তার নেই।
মেম্বার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে
মাদক বিক্রির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মেম্বার জাহাঙ্গীরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদক বিক্রির বিষয়টি সঠিক নয়, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে কথা বলবেন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন যোগদানের পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, অনেক শীর্ষ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার হয়েছে, সেখানে বাকসাডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার জাহাঙ্গীর কাজী ও তার ছেলে নাইম কাজীর বাধাহীন ভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
মেম্বার ও তার ছেলের মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রশাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
Leave a Reply