1. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  2. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  3. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শেরপুরে জাল দলিলে জমি দখলের পায়তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে বিডি ক্লিনের বীচে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিএমপির অভিযানে পিস্তল গুলিসহ অস্ত্রকারবারি আটক-৩ লালমনিরহাটে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত-১০ বাংলাদেশ শিক্ষক- কর্মচারী ঐক্যজোটের সাঁথিয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান পিরোজপুর জিয়া মঞ্চ নব গঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনে অন্তর্বর্তী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শেরপুরের গ্রামাঞ্চলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর শহরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট
শিরোনাম:
শেরপুরে জাল দলিলে জমি দখলের পায়তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে বিডি ক্লিনের বীচে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিএমপির অভিযানে পিস্তল গুলিসহ অস্ত্রকারবারি আটক-৩ লালমনিরহাটে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত-১০ বাংলাদেশ শিক্ষক- কর্মচারী ঐক্যজোটের সাঁথিয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান পিরোজপুর জিয়া মঞ্চ নব গঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনে অন্তর্বর্তী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শেরপুরের গ্রামাঞ্চলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর শহরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট

সুনামগঞ্জ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে ব্যহত হচ্ছে ছাতক ৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার ও কোম্পানীগঞ্জের প্রায় ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ছাতক উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৪ তলা নতুন ভবন নির্মান করে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। এর পর নতুন ভবনে আধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ও ডেন্টাল ইউনিট স্থাপন শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলে সাধারন মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও জনবল না থাকার কারনে প্রথম থেকেই চিকিৎসা সেবা মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

জানা যায়, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণে ২০১৩ সালে ৪তলা বিশিষ্ট নতূন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৬ সালে ভবনের কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়। এর পর ওই ভবনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন এর আগেই স্থাপিত হয় আধুনিক ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও ডেন্টাল ইউনিট। এতে বৃহত্তর এলাকাবাসী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসাসেবার স্বপ্ন দেখে। সাধারণ মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল শঙ্কটের কারণে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আসবাবপত্র ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। হাসপাতালের নতুন ভবনটি নিজেই রোগি। প্রায় প্রতিটি রুম ও ফ্লোরগুলো ময়লা আবর্জনায় ডাকা। ভবনের অধিকাংশ শৌচাগারগুলোর নাজুক অবস্থা। দূর্গন্ধে আশ-পাশে যাওয়াই মুশকিল। এতে চিকিৎসাসেবায় নতূন ভবনটি যেন কোন কাজে আসছেনা। বিনষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগিদের মধ্যে খাবার বিতরণে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ।

চিকিৎসা সেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক একটি অধিকার হলেও কিন্তু ছাতক ৫০ শয্যা হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমানের চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না বৃহত্তর এলাকাবাসী। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে স্বাস্থ্য সেবায় যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন থাকা সত্তে¡ও এখানে চাহিদা মতো তা করা হচ্ছে না বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর গত ১৯ বছর আগে এখানে সিজার হয়ে বাচ্চা জন্ম নিয়েছিল মাত্র ৯টি। এর পর থেকে সিজারের ডাক্তার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় হাসপাতালে সিজার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোনমতে চলছিল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। জটিল রোগিরা এখানে আসলে চিকিৎসাসেবা না দিয়ে তাদেরকে পাঠানো হতো সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নতূন ভবন নির্মাণের পর গত জুন থেকে আবারো চালু হয়েছে সিজার কার্যক্রম। প্রথম মাসেই সিজারে ৫টি বাচ্চা জন্ম হয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসা চলছে ঝিমিয়ে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে সাধারণ মানুষ ছুটে যেতে হচ্ছে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে। সিজার বা ডেলিভারি দিক দিয়ে ছাতক হাসপাতালের চেয়ে বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতাল। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, এখানে প্রতি মাসে দেড়শতাধিক সিজার-ডেলিভারি হচ্ছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ধারণ সৈদেরগাঁও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি ডেলিভারি হয়ে থাকে। এছাড়া ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে সহকারী দিয়ে চলছে সৈদেরগাঁও, কালারুকা বিল্লাই ও ছৈলার মহব্বতপুর। তবে সিংচাপইড় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নেই। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা। এদিকে, ৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ভাঁতগাঁওয়ের নারায়নপুর, দোলারবাজারের তালুকপাঠ, ইনাম পীরগঞ্জসহ একাধিক ক্লিনিকে নেই কমিউনিটি হ্যালথ কেয়ার প্রোফাইটর (সিএইচসিপি)। অভিযোগ উঠেছে, অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে ছাতক হাসপাতালে ভালো চিকিৎসকরা এসে বেশিদিন থাকতে পারেন না। একটি চক্র নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে এসব অনিয়ম করে আসছে। যার ফলে মানবসেবার এ হাসপাতালটি আজ এ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কার্যকালে একনজরে দেখা গেছে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ইং পর্যন্ত ডাক্তার মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরী। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ইং পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মো. নুরুল হক চৌধুরী। তালিকার ১৪ নং ক্রমিকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নাম রয়েছে ডাক্তার রাজীব চক্রবর্ত্তীর। তিনি ২০১৫ সালের ১ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ১৩ দিন দায়িত্বে ছিলেন। এর পর দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার প্রধান আবদুল আবুল কালাম আজাদ। তিনি ২০১৫ সালের ১৪ জুন থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ নং ক্রমিকে আবারও ডাক্তার রাজীব চক্রবর্ত্তীর নাম দেখা গেছে। তিনি ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২ দিন দায়িত্বে ছিলেন। ১৭ নং ক্রমিকে ডাক্তার নাজিম উদ্দিন। তিনি দায়িত্বে ছিলেন ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত। ১৮ নং ক্রমিকে আবারও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ডাক্তার রাজীব চক্রবর্ত্তীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের ৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত এখানে দায়িত্ব পালন করেন। ২১ নং ক্রমিকে ডাক্তার রাজীব চক্রবর্ত্তীর নাম রয়েছে। তিনি চতুর্থ বারের মতো এখানে যোগদান করেন ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট। বর্তমানে তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

হাসপাতলা সুত্রে জানা যায়, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই। টাকা পয়সা দিয়ে মাঝে মধ্যে হাসপাতালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। স¤প্রতি ভয়াবহ বন্যায় এই এলাকার অসংখ্য মানুষ তাদের গবাদিপশু নিয়ে হাসপাতালের নতূন ও পুরাতন উভয় ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই আশ্রয় গ্রহণকারিরা হাসপাতালের নতূন ভবনের বাথরুমগুলো নষ্ট করেছেন। অনেক আসবাবপত্র জ্বালিয়ে তারা রান্না করে খাবার খেয়েছেন।

এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজীব চক্রবর্তী বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করলেও হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক আছেন। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৭শত জন রোগি আসেন। অনেকেই ভর্তি হয় আবার অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন করোনার ঠিকা প্রথম ডোজ ৭২ ভাগ, দ্বিতীয় ডোজ ৬৭ ভাগ ও তৃতীয় ডোজ ২৩

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD