মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
বিদায়ী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সংবর্ধিত হয় চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের আনুষ্ঠানিকতায়।এসময় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হয়।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারূফ। স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম আলাউদ্দিন, আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য মো. ওয়াহিদ মুরাদ, রিপন চৌধুরী, সৈয়দ মাঈনুল আলম সৌরভ, কাউসার চৌধুরী, কামাল আহমেদ টিটু, মো. হারুনুর রশিদসহ নেতৃবৃন্দরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহানগর, জেলা-উপজেলা কমান্ডের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারক, ছবি ও ফুল দিয়ে জেলা প্রশাসককে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।
বিদায়ী প্রশাসক বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশের প্রত্যেক আন্দোলন-সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরণীয়।আন্দোলন-সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানে আমরা স্বাধীন এ দেশ পেয়েছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় বাংলাদেশ। সরকারের যে কোনও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আন্তরিক ছিল বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সরকারের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সামিল হলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সহ্য করতে না পেরে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সংবর্ধনা গ্রহণ করার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে সারাজীবনের জন্য অনন্য উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এ সম্মান সর্বোচ্চ সম্মান। যেখানেই থাকি চট্টগ্রামের প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার মুখ ও চেহারা মনে থাকবে।
উল্লেখ্যঃ আজ সোমবার প্রশাসক কার্যালয়ে সঙ্গে সার্ক মানবাধিকার সংগঠন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ।মানবতাবাদী প্রশাসকের বিদায়ী বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন ও সংবর্ধনায় নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ সংগঠন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। বিদায়ী প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মমিনুর রহমান মহোদয়ের সাথে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মারুফ আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ। দুজনেরই জন্য দীর্ঘায়ু সুস্থ ও শুভ কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সার্ক মানবাধিকার এর কেন্দ্রীয় লাইফ টাইম সদস্য ও উপদেষ্টা মোঃ নাজিম আকতার আমির ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের রনি ভাই ও জয়েন্ট এডিটর পাবলিকেশন এফ.কে. নাহিদ পাটুয়ারী সহ আরো অনেকে।এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন করোনা কালীন সময় যে ভুমিকা রেখেছেন এবং সব সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থেকে যে সহযোগিতা করেছেন সেজন্য তিনি সার্ক মানবাধিকার এর কর্মী গনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বিশেষ করে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় আজীবন সদস্য মোহাম্মদ নাজিম আক্তার আমিরি
করোনা কালীন সময় মানবতার সেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বিদায়ী প্রসাশকের প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply