নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দূর্নীতিবাজ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অপসারন ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় তুলারামপুর ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এলাকাবাসী ও অভিবাবক সূত্রে জানা যায়, তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজসে ব্যপক দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
মানববন্ধনে ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য খান আতাউর রহমান সুজন বলেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মন্ডল আমাদেরকে নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ সর্ম্পকে কোন কিছুই অবগত করেনি। প্রধান শিক্ষক হঠাৎ করে ডেকে নিয়ে সভাপতিসহ বহিরাগত অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামলার আসামীদের উপস্থিতিতে রেজুলেশনের খালি খাতায় জোর করে সই নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি সই না করে দৌড়ে পালিয়ে চলে আসি। আমরা এই দূর্নীতিবাজ সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের অপসারন ও অবৈধ নিয়োগ বাতিল চাই।
ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, আমাকে কোন কথাই বলতে দেয়নি,স্কুলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমার পাঞ্জাবি ধরে টেনে জোর করে খালি খাতায় সই করিয়ে নিয়েছে।এরপর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ ইমদাদুল ইসলাম(সাহেব) আমাকে সংবাদটি ডিলিট করে দিতে চাপ দেয়।বলে সাংবাদিকের নিউজ ফেসবুকে শেয়ার করেছ কেন?তুমি তো আইসিটি মামলা খাবে।আমি সাংবাদিক রন্টুর নামে লাখ টাকা বাজেট করেছি,আইসিটি মামলা করবো, আর রন্টুকে দেখে নেব। আমার কাছে আরো সাংবাদিক আছে।তিনি আরো বলেন,১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আটজনের সই করা হয়েগেছে সেখানে তোমরা তিনজন সই না করলে আমার কিছু আসে যায় না। তোমার শেয়ার করা নিউজটা ডিলিট করো।তাহলে তুমি বিপদ মুক্ত। তুমি আমার ছোট ভাইয়ের মত, সামনে আরো দুইটা নিয়োগ আছে, ঐ দুইটা আমি তোমাদের উপর ছেড়ে দেব।
তুলারামপুর ইউনিয়নের মোঃ শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, আমি ঐতিহ্যবাহী তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। আমরা এই স্কুলের দূর্নীতিবাজদের দূর করে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক সদস্য জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার পূর্বেই স্কুলের সভাপতি ইমদাদুল হক সাহেব পরিস্কার জানিয়ে দেন, ঘোড়ার দাম বারো লাখ, এক টাকা কম হলেও চাকরী হবেনা।
প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মন্ডলের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা। আমরা সব কিছু সঠিক নিয়মে করেছি।কোন অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ ইমদাদুল ইসলাম(সাহেব) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কিছু বিধিমোতাবেক স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক শাকিল আহমেদ কে জানান, বিষয়টি দুঃখ জনক।আমি বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম ।আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি।
Leave a Reply