মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের খানসামায় আগুনে তিনটি গরু দুইটি ছাগলসহ বসতবাড়ি, রসুন ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের দ: বালাপাড়া গ্রামের (বোর্ডেরহাট) মাষ্টারপাড়ায় মৃত মনতা ইসলামের ছেলে ভ্যানচালক মজিবর রহমানের বাড়িতে মঙ্গলবার (৯ মে) রাত ১১.৩০ মিনিটে এ আগুন লাগে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগুনে পুড়ে ওই পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন দরিদ্র এই ভ্যানচালক পরিবারের সদস্যরা। এনজিও ও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা ধারদেনা করে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরী করেন। তার পরিবারের দুই ছেলে একজন বাবার মতই ভ্যানচালক, আরেক ছেলে প্রতিবন্ধী, স্ত্রী, মা নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার । ভ্যান চালানো টাকায় কোনো রকমে অভাবের সংসারটি পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল তার বসতবাড়িতে আগুন লাগে। এমনকি মুহুর্তের মধ্যে আগুনে সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরিহিত কাপড় ছাড়া আর কোনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
পুড়ে যাওয়া পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ভ্যানচালক মজিবর জানান, আমাদের গায়ের কাপড় ছাড়া আর কিছুই রইল না। দাড়িয়ে নিরবে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমানোর আগে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে গেছি। হঠাৎ করে গায়ে গরম লাগতেছে বুঝতে পেরে দেখতে পাই আগুন জ্বলতেছে পাশের রুমে। আমাদের বাড়িতে বাঁশ ও পাঠ খড়ি দিয়ে বাড়িটি তৈরি করা ছিল। কিছু কিছু জায়গায় টিন দিয়ে ঘেরা ছিল। পাশাপাশি একটি রুমে ৯০ মন রসুন রাখা ছিল। দুইটি গরু একটি ছাগলসহ বাড়ির আসবাবপত্র সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে ৮-৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে এরই মধ্যে খানসামার ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এসে বাকি আগুনগুলি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
খানসামা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স লিডার আবু সায়েম আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই কিন্ত আগুিকান্ডের ১০ মিনিটেই সব পুরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে কয়েলের আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত।’
Leave a Reply