নিউজ ডেস্ক :
বাবার অবাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করায় ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন এক বাবা। তবে বিষয়টি এখনো কাগজে-কলমে হয়নি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন রাসেল মোল্লা।
এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়।
রাসেল মোল্লার ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র কলাপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি কলাপাড়া ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।
এদিকে বাবা রাসেল মোল্লা কলাপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে এখন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তিনি।
বড় ছেলে আলিফকে ত্যাজ্য ঘোষণা করে নিজের ফেসবুকে মো. রাসেল মোল্লা লেখেন, ‘প্রিয় কলাপাড়াবাসী আসসালামু আলাইকুম। আমার ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র, সে আমার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ানোর কারণে তাকে আমার পরিবার থেকে ত্যাজ্য পুত্র ঘোষণা করলাম। আজ থেকে আমার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক নাই। বর্তমানে আমি নিজেও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়, আগামীতেও জড়িত হবো না।
’
স্ট্যাটাসের সঙ্গে বাবা-ছেলের একটি ছবিও পোস্ট করেন রাসেল মোল্লা। তবে রুদ্র অনেক দিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পর হঠাৎ বাবার এমন সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক কৌশল’ হিসেবে দেখছেন অনেকে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হতে পারে। সেখানে রুদ্র পদপ্রার্থী। নিজেকে বিএনপি পরিবার থেকে মুক্ত করতে এটি রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মোল্লা বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে গেছি। আমি আগে রাজনীতি করতাম, আমি রাজনীতিকে এখন পছন্দ করি না। আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করুক সেটা আমি চাই না। এ জন্য আমি তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেছি। খুব শিগগিরই কাগজে-কলমে তাকে ত্যাজ্য করা হবে।’
আলিফ মাহমুদ রুদ্র বলেন, ‘আমি আমার বাবার বাসাতে থাকি না। ছোটবেলা থেকেই আমি ছাত্রলীগকে পছন্দ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করি, এ জন্য আহত হয়েছি কয়েকবার। পরিবারের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক নেই। আমি ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রাণ।’
Leave a Reply