নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার ১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বিপুল সিকদারের বিরুদ্ধে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী প্রবীর বাগচী একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
ভুক্তভোগী প্রবীর বাগচী অভিযুক্ত বিপুল সিকদারের কাছ থেকে তার পাওনা দুইলক্ষ টাকা পাওয়ার আসায় নড়াইলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগের সুত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগী প্রবীর বাগচীর মেয়ে স্বপ্না বাগচীকে ন্যাশনাল ব্যাংকে সহকারী অফিসার পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে মুলিয়া ইউনিয়নের কোরগ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান বিপুল সিকদার দুই লক্ষ টাকা নেন।
মেয়েকে চাকরীর ইন্টারভিউর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যান। কিন্তু দির্ঘদিন পার হয়ে গেলেও মেয়ের চাকরী না হওয়ায় বিপুল সিকদারের কাছে তার দেওয়া দুই লক্ষ টাকা ফেরত চান।
কিন্তু বিপুল সিকদার টাকা আজ দেব কাল দেব বলে ঘুরাতে থাকেন।
এই নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন লাভ হয়নি।সর্বশেষ বিপুল সিকদার টাকা দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ।
এ বিষয়ে প্রবীর বাগচী কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান,আমার মেয়ের চাকরী দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল সিকদার।
আমি আমার চাষের জমি বিক্রিকরে তাকে এই টাকা দিয়েছি।
আমি দির্ঘদিন তার পিছে পিছে ঘুরছি। এর মধ্যে আমার স্ত্রী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে আমি বিপুল সিকদারের কাছে গিয়ে আমার পাওনা টাকার জন্য তার হাতে পায়ে ধরেছি।
কিন্তু তার মন গলেনি, আমার স্ত্রী অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।
আমি বিপুল সিকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই,আমি আমার পাওনা টাকা ফেরত চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়াম্যান বিপুল সিকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টা প্রায় পনের বছর আগের। মোবাইলে বলা যাবেনা, এক সময় চা খেয়ে যাবেন, তখন বিস্তারিত বলবো।
Leave a Reply