নিউজ ডেস্ক:
প্রতি বছর তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, তামাক থেকে যে রেভেনিউ সরকার পায় তার থেকে বেশি ক্ষতি চিকিৎসা ব্যয় সহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতেই হয়ে যায়। এজন্য যেকোনো মূল্যে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মোট মৃত্যুর সত্তর শতাংশই ঘটে অসংক্রমক রোগের কারনে। আর এই অসংক্রামক রোগের অন্যতম একটি বাহক হচ্ছে তামাকের ব্যবহার।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডক্টর মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিসিসি’র সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি সংসদ সদস্য ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর হুমায়ুন কবীর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডাক্তার বার্দান জং রানা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ৯টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়।
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা-২০২৩ অর্জন করে।
Leave a Reply