শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
২৬ জুন ২০২৩ ইং তারিখ নড়াইল জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিস বার্ষিক ও হিসাব শাখা ষান্মাসিক পরিদর্শন করেন জনাব মঈনুল হক বিপিএম(বার), পিপিএম, ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, খুলনা।
ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ নড়াইল জেলা পুলিশ লাইনস্ এ পৌঁছালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন মোসাঃ সাদিরা খাতুন, সুযোগ্য পুলিশ সুপার, নড়াইল । অতঃপর তিনি জেলা পুলিশের নান্দনিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
কুচকাওয়াজ অধিনায়ক জনাব মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), নড়াইল এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরিদর্শনকালে তিনি নড়াইল জেলা পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের প্যারেডের দক্ষতা মূল্যায়ন করেন।
এ সময় তিনি জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
অতঃপর পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুনের সভাপতিত্বে পুলিশ লাইনস্ এ অনুষ্ঠিত “আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে জনাব মঈনুল হক বিপিএম(বার), পিপিএম, ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি তার বক্তব্যে বলেন, নড়াইল জেলা ছোট হলেও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এই জেলায় অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের সমাবেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে পদ্মা সেতু হওয়ার পর নড়াইল এখন একটি তাৎপর্যপূর্ণ জেলা ও উন্নয়নের গেটওয়েতে পরিণত হয়েছে। এখন নড়াইলে মিল কারখানা স্থাপিত হবে, আইটি পার্ক করা হচ্ছে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে। এই কাজ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী করছে। আর আনসার বাহিনীর তৃণমূল পর্যায়ের সদস্যগণ ও গ্রাম পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। যাদের অবদানে আমাদের ভিত্তি রচিত হয়েছে, তাদের প্রতি সকলের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যাতে ঠিক থাকে, কোন রকম অরাজকতা যাতে সৃষ্টি না হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে সমৃদ্ধ হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোন অবনতি না ঘটে, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
মাদক নির্মূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদকমুক্ত নড়াইল গড়তে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকরাই যথেষ্ট। আপনাদের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এ সময় তিনি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, মিডিয়া প্রোপাগান্ডাসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ রোধে পুলিশ, আনসার, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান করেন।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খাঁন নিলু, নড়াইল সদর পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা এর পিতা গোলাম মোর্তুজা স্বপন, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সন্জিত কুমার দাশ, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও আব্দুল হাই ডিগ্রি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মল্লিক, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাসানুজ্জামান, লোহাগড়া উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান রুনু, কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রতিটি ইউনিয়নের আনসার কমান্ডারগণ, আনসার সহকারী কমান্ডারগণ, ইউনিয়ন ভিডিপি দলনেতা ও দলনেত্রীগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যগণ। এছাড়া নড়াইল জেলা পুলিশের মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ), তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), মোঃ দোলন মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল), প্রণব কুমার সরকার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কালিয়া সার্কেল, সহকারী পুলিশ সুপার(প্রবেশনার) দেবব্রত সরকার, নড়াইল সদর, লোহাগড়া, কালিয়া ও নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, বিট পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply