সিদ্দিকুর রহমান,বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) রংপুর ক্যাফেটেরিয়া চালু হওয়ার আগেই খাবারের দাম নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত ২৭শে জুলাই-২০২৩ইং তারিখে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বেরোবি কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। নোটিশে বলা হয় সংস্কারের কাজে জন্য ৭ই আগষ্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরবর্তীতে ৮ই আগষ্ট আবার নোটিশ দেওয়া হয় ক্যাফেরেটিয়া সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হাওয়ায়, আগামী ১৩ই আগস্ট সাধারণ সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে। এই বন্ধ থাকার কারণে খাবার খাওয়ার অসুবিধা ভুক্ত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
গতকাল রাত ১০ টায় (১০ই আগষ্ট) হঠাৎ করে ক্যাফেটেরিয়া চালু হওয়ার আগে খাবার মূল্য তালিকা প্রকাশ করেন। খাবারের মূল্যের তালিকায় খাবারের দাম আগের খাবার মূল্য তালিকা চেয়ে বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ, বিভিন্ন পেইজের পোস্ট, কমেন্টের মাধ্যমে তাদের মনের ক্ষোব প্রকাশ করছে।
নাহিদুর রহমানে ফেসবুক পোষ্টে বলেন, খাবারের দাম দেখেতো মনে হয় 7 star Restaurant.. এটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাফেটেরিয়ার মেনু হতে পারেনা।
আফসানা মিনি তার কমেন্টে লিখেন, এটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানু মনে হচ্ছে না, ৫ স্টার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট মনে হচ্ছে। এখানে স্টুডেন্টরা ক্লাসের ফাকে লাঞ্চ করে, নাশতা করে, শখের বসে খাইতে যায় না। কোয়ালিটি কেমন হবে তাতো বুঝাই যাবে।ক্যাফেটেরিয়ায় স্টুডেন্টসুলভ দাম আর মেন্যু রাখা উচিত
রাব্বি হাসান মন্তব্য করেন , আমি তো জানি ভাত যা খাই তাই ভাত, ভাত আবার প্রিমিয়ামও হয় জানা ছিলো না। কি জানি বড়লোকদের বড় বড় ব্যাপার!!!
শুয়াইব শাহিন ফেসবুক পোস্টে কমেন্টে বলেন, প্রিমিয়াম ভাত, প্রিমিয়াম দাম তো হবেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেও বিজনেস শুরু হয়ে গেছে, কোথায় জিনিসের দাম কম রাখা হবে তা নয়, সব কিছুই বেশি। এটা কি স্টুডেন্ট দের কথা চিন্তা করে তৈরি করা, না শুধু বিজনেসের জন্য? আর বিজনেসের জন্যে হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কেন? বাইরে গিয়ে বিজনেস করুন।
এই দিকে জাকের হোসেন পাশা লিখেছেন, এ ধরনের মূল্য কোনো ক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ায় হতে পারেনা! এটা নিঃসন্দেহে একটা মহলের স্বার্থ হাসিল হবে! দাম কমানো হেক | অনেক আইটেমে দাম আকাশচুম্বী!
রাশেদ উদ্দিন বলেন, আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ২০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যায় আর এখানে ডিমের দাও ২০.
হাসান মাহমুদ বিপুল পোষ্ট দিয়েছেন, দুর্মূল্যের বাজারেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হল এর ভেতরে যে ক্যান্টিন সেখানে এখনও পরোটা মাত্র চার টাকা! রেজাউল ইসলাম রিফাত মন্তব্য করেছে, জুনিয়র এর ভয়ে সিনিয়র সমাজ আর কখনো ক্যাফেটেরিয়ায় যাবে না এখন আর চা খা বলার দিন শেষ
শাহরিয়ার আতিক বলেন, আফসোস লাগে! দাম/মান কোনো টাতেই আমাদের ক্যাফেটেরিয়ার কোনো বিশেষত্ব নেই। কাউকে বলতে পারিনা, আমাদের ক্যাফে তে এত টাকায় এমন স্বাদের এই খাবার টা পাওয়া যায়। দাম তো গেলোই এবার মান দেখা বাকি।
ফরিদুল ইসলাম ফরহাদ মন্তব্য করেন, দাম দেখে মনে হচ্ছে ফাইভ স্টার হোটেল, এরকম ক্যাফেটেরিয়া থাকা আর না থাকা একই কথা৷ শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া চাই।
তাসকিয়া তাবাসসুম ফেসবুক পোস্টে বলেন, আগেই ভালো ছিলো। সব কিছুর দাম এত বেশি ক্যান দাম দেখে মনে হচ্ছে ক্যাফেটেরিয়ায় খাচ্ছি না, বাইরে পশ একটা হোটেলে খাচ্ছি।
মাহিম মুন্না বলেন, মেনু কার্ড দেখে মনে চাইতাছে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে নাচানাচি করি এটা ক্যাফেটেরিয়া কখনো হইতে পারে নাহ। মনে হচ্ছে খাইতে গেলেও ৬৫+ টাকা এটা অবশ্যই মেনু কার্ড দেখে কাপল রেষ্টুরেন্ট এখানে নাস্তা করতে গেলে মিনিমাম ৪০ টাকা লাগবে আর সবথেকে গরিবের মতো ভাত লাগবে ? তাইলে লাভ কি হইলো ভাই?? লাভ একটাই,পায়ে হেটে খাইতে আসতে হবে নাহ পার্কের মোরে
উল্লেখ্য যে, সবগুলো বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে নেওয়া।
সিদ্দিকুর রহমান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
Leave a Reply