নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভূয়া পশু চিকিৎসক অনুপম বকশী। ধূর্ত এই অনুপম নিজেকে অনেক বড় পশু চিকিৎসক দাবি করে গ্রামের সাধারণ ও প্রান্তিক খামারিদের চিকিৎসার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসা দিয়ে গরু মেরে ফেলা সহ নানাবিধ অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে হিজলডাঙ্গা মন্দিরের ষাড় গোপনে দালাদের নিকট বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অনুপম অবৈধ এসব কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
রোগা গরু কম দামে বিক্রি করে কসাইয়ের নিকট হতে মোটা টাকা হাতিয়ে নেন এই প্রতারক।তার ক্ষপ্পরে পড়ে ক্ষতি গ্রস্থ্য হচ্ছে প্রান্তিক খামারীরা। নাম মাত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে রাতরাতি পশু চিকিৎসক বনে গেছে এই অনুপম। দেবভোগ গ্রামের লোক তাকে অনুপম চিটার নামে চেনে।
সরকারি নীতিমালার কোন রকম তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বীরদর্পে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই ভূয়া কৃত্রিম প্রজনন কর্মী ।
ভারতীয় চোরাই পথে আসা ” গীর ” জাতের সিমেন ক্রয় করে ব্যবহার করছেন এই ভূয়া পশু চিকিৎসক ।
স্বল্পমূল্যে ” গীর জাতের এই সিমেন ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করছে অনুপম।
এর ফলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
স্থানীয় খামারি বিচিত্র রায় বলেন, অনুপম বকশীর নিকট হতে আমার গাভীকে ৭ থেকে ৮ বার প্রজনন করিয়ে ও কোন ফল হয়নি। প্রতিবার ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নিয়েছে।
অারেক খামারি রুইদহ মল্লিক বলেন,আমার অধিক মূল্যের এড়ে গরুকে ভূয়া পশু ডাক্তার অনুপম বকশি ভূল ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলেছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে ভূয়া প্রজনন কর্মী ও ভূয়া ডাক্তারদের তালিকা করা হয়েছে। সল্প সময়ের ভিতর ভূয়া এ সব ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply