পাবনা প্রতিনিধি :
দুটি পা হারিয়ে ২৬ বছর ভাসমান ডেরায় বসবাসকরী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ অবশেষে ঘর পেলেন।
গত ১৬ জুন জনতার কথা ২৪. কমে ‘দু পা হারিয়ে ভাসমান ডেরায় ২৬ বছর বসবাস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টি নজরে আসে বেড়া উপজেলা প্রশাসনের। পরে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন তাঁর জন্য কৈটোলা পাম্পিং স্টেশনের পাশে ঘর বরাদ্দ দেয়।
কৈটোলা ইউনিয়নের কৈটোলা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম। স্টেশনের পাশে কাকেশ্বরী নদীতে প্লাস্টিকের তেলের ড্রামের ওপর ভাসমান ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে জীবনযাপন করছিলেন।
তিন ছেলে, চার মেয়ের সংসার ছিল সিরাজুল ইসলামের। কিন্তু সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। কেউ খোঁজ রাখে না বৃদ্ধ তাঁর। তাই সবকিছু ছেড়ে নদীতে একাকী বসবাস করছিলেন তিনি। মাছ শিকার করে চলতো জীবন-জীবিকা।
সিরাজুলের জায়গা-জমি কিছুই নেই। ২৬ বছর আগে অজ্ঞাত এক রোগে পচন ধরে তাঁর দু’পায়ে। ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। পরে এলাকাবাসীর সাহায্য-সহযোগিতায় পা দুটি কেটে ফেলেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। এত দিনে থাকার একটা জায়গা হলো। এজন্য প্রধানমন্ত্রী এবং বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুর আলী বলেন, অসহায় সিরাজুল ইসলামের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে।
Leave a Reply