বরগুনা জেলা বিশেষ প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মধ্যতারিকাটা গ্রামে প্রতিবেশীর জমিতে হাঁস বিচরণ করার অপরাধে বিষ প্রয়োগে এক দিন মজুরের ১৬টি হাঁস হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় হাঁসের মালিক আবু জাফর বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্যতারিকাটা গ্রামের হারুন তালুকদারের ছেলে দিনমজুর মোঃ আবু জাফরের পালন করা ১৬টি হাঁস প্রতিবেশী নাসির উদ্দিন হাওলাদারের জমিতে বিচরণ করার অপরাধে তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম বুধবার ২৭/১২/২০২৩ বিকেল ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে ওই খেতে ছিটিয়ে রাখে।
জাফরের পালিত হাঁসে ওই বিষ মিশ্রিত ধান খেয়ে বাড়িতে আসামাত্র এক এক করে ১৬টি হাঁস মাটিতে লুটিয়ে পরে এবং কিছুক্ষনের মধ্যে মারা যায়। এভাবে বহু কষ্টে পালন করা আবু জাফরের ১৬টি হাঁস মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে আবু জাফর এবং তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
ওই ঘটনায় বুধবার রাতে আবু জাফর বাদী হয়ে নাসির উদ্দিন হাওলাদারের স্ত্রী জাকিয়া বেগমের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে ১৬টি হাঁস হত্যার অভিযোগ এনে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাঁসের মালিক আবু জাফর অভিযোগ করে বলেন, নাসির উদ্দিন হাওলাদার এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম খারাপ প্রকৃতির লোক। হেরা মোর পাশের বাড়ির মানুষ। হেগো জমিতে মোর আস (হাঁস) যাওয়ায় ধানের সাথে এন্ডি (বিষ) দিয়ে মোর ১৬টি আস (হাঁস) মাইর্যা হালাইছে। মুই এইয়া কইতে যাওয়াও নাসির ও হের বউ জাকিয়া মোরে মারতে আইছে। হের পর মোগো গ্রাম ছাড়া করার ডর (হুমকি) দেহায়।
আবু জাফরের স্ত্রী ফাহিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মোরা গরিব মানুষ খাইয়া না খাইয়া আস (হাঁস) পালছি। হেই আস (হাঁস) পাশের বাড়ির জাকিয়া বেগম মাইর্যা হালাইছে। মুই এইআর বিচার চাই।
অভিযুক্ত জাকিয়া বেগম বিষ প্রয়োগে হাঁস হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারা হাঁস মেরেছে ওই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষ প্রয়োগে ১৬টি হাঁস হত্যার অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তে প্রমানিত হলে ওই বিষয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে
Leave a Reply