নিউজ ডেস্ক :
আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে কোণঠাসা হয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অন্তত ৬৮ জন সদস্য তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে রোববার বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পালিয়ে আসা ৬৮ জনের মধ্যে জানি মং ও নিমলাইন নামের দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ৪ জনকে উখিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তে গুলিতে আহত হয়েছেন তিন বাংলাদেশি, আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়েছেন অনেকে। এর আগের রাতে মর্টার শেল পড়ে এক বাংলাদেশির ঘরে আগুন ধরে যায়। বন্ধ করা হয়েছে সেসব এলাকার ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার পর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত তমব্রু সীমান্তের ওপার থেকে শোনা যায় তুমুল গোলাগুলির শব্দ। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর আরেকটি ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করে বাংলাদেশে।
পশ্চিমকুল তুমব্রু ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী হেলিকপ্টারে করে পাল্টা হামলা চালানোর পর সীমান্তে গোলাগুলি কমে আসে।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার সীমান্ত। এর বড় অংশ বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত–সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করেছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি গোষ্ঠী।
Leave a Reply