সুমন ইসলাম, ঠাকুরগাঁও:দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। ঠাকুরগাঁও শহরের প্রবেশপথে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সড়ক ও মহাসড়কের পাশে যেখানে– সেখানে ময়লা, আবর্জনা ফেলছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এতে শহরে ঢোকার দুটি পথসহ কয়েকটি স্থান ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ নাকে নিয়ে শহরে ঢুকতে হচ্ছে পথোচারিদের। শহরে চলতেও হচ্ছে নাক-মুখ চেপে।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলছে। অথচ এটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা। ১৯৫৮ সালের ১ মার্চ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালে এটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠার ৬১ বছরেও আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব জায়গায় মানুষের নিয়মিত চলাচল আছে, সেখানে আবর্জনা ফেলা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
শহরের বেশকিছু বাসিন্দা জানান, শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা মাস দুয়েক ধরে শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামের সামনে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ও গম গবেষণা উপকেন্দ্রের সামনেসহ কয়েকটি সড়কে ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এসব স্থান আবর্জনায় স্তুপ হয়ে গেছে। ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পথচারীদের নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় গম গবেষণা উপকেন্দ্র এলাকায়“ছবি সযুক্ত”
ঠাকুরগাঁও শহরে ঢুকতেই ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধ
জুনাইদ কবির,ঠাকুরগাঁও:দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। ঠাকুরগাঁও শহরের প্রবেশপথে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সড়ক ও মহাসড়কের পাশে যেখানে– সেখানে ময়লা, আবর্জনা ফেলছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এতে শহরে ঢোকার দুটি পথসহ কয়েকটি স্থান ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ নাকে নিয়ে শহরে ঢুকতে হচ্ছে পথোচারিদের। শহরে চলতেও হচ্ছে নাক-মুখ চেপে।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলছে। অথচ এটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা। ১৯৫৮ সালের ১ মার্চ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালে এটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠার ৬১ বছরেও আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব জায়গায় মানুষের নিয়মিত চলাচল আছে, সেখানে আবর্জনা ফেলা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
শহরের বেশকিছু বাসিন্দা জানান, শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা মাস দুয়েক ধরে শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামের সামনে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ও গম গবেষণা উপকেন্দ্রের সামনেসহ কয়েকটি সড়কে ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এসব স্থান আবর্জনায় স্তুপ হয়ে গেছে। ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পথচারীদের নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় গম গবেষণা উপকেন্দ্র এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চালকেরা আবর্জনাভর্তি ভ্যান নিয়ে মহাসড়কের পাশে ফেলছেন এবং গিয়ে দেখা যায়, চালকেরা আবর্জনাভর্তি ভ্যান নিয়ে মহাসড়কের পাশে ফেলছেন এবং এখানে কুকুরের উৎপাতো প্রচন্ড আকারে দেখা দিয়েছে,কুকুরের কারনে ঘটছে ছোট বর দূর্ঘটনা। মানুষ নাক চেপে সরক পার হচ্ছে।
সকালের দিকে এক ব্যক্তি ভ্যানে আবর্জনা এনে গম গবেষণা উপকেন্দ্রের সামনের সড়কের পাশে ফেলছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে যেখানে ময়লা ফেলতে বলছে, আমরা সেখানেই ময়লা ফেলি।’ এ সময় গম গবেষণা উপকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘দুর্গন্ধে এখানে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
বর্ডারগার্ড স্কুলের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, স্কুল যাতায়াতের সময় আবর্জনার পচা গন্ধ নাকে লাগে। অনেক সময় বমি চলে আসার উপক্রম হয়।
পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা অপসারণে নিয়োজিত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গৃহস্থালির ময়লা অপসারণের জন্য ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জলবায়ু তহবিলের আওতায় ‘ক্লিন ঠাকুরগাঁও, গ্রিন ঠাকুরগাঁও’ নামে প্রকল্প চালু করে পৌরসভা। এর নকশা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে তা দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করার কথা। বাসাবাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের দায়িত্ব পায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। আর বায়োগ্যাস তৈরির কাজটি রাখা হয় পৌরসভার হাতে। এত দিনেও বায়োগ্যাস প্যান্ট তৈরি না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা শহরের সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে।
ওই প্রকল্পের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের কাজের সমন্বয়কারী লেন, প্রকল্পের লোকজন পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন কয়েক টন ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করেন। ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়াম, গম গবেষণা উপকেন্দ্র, রোড এলাকার শুক নদ , সেনুয়া ও টাঙ্গন নদী এলাকায় এসব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের দায়িত্ব আমাদের হলেও ডাম্পিংয়ের জায়গা পৌরসভার নির্ধারণ করে দেয়। আমরা যে কটি জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছি, সেগুলোও পৌরসভা নির্ধারণ করে দিয়েছে।’
নারগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, খুব ছোট এলাকা নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা গঠিত। এই শহর পরিচ্ছন্ন রাখা খুব একটা কঠিন নয়। উল্টো যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলে পৌরসভাই পরিবেশের দূষণ ঘটাচ্ছে। শহরের প্রবেশমুখে না করে,শহর থেকে একটু দুরে কোনো জায়গায়ই ময়লা-আবর্জনা ফেলা উচিত ।
পৌরসভার মেয়র আন্জুমানআরা বন্যা বলেন, পৌরসভার নির্ধারিত আবর্জনা ফেলার স্থান নির্মাণসহ এম জি এস পি এর আওতায় ডাম্পিং প্লেজ করে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং শহরের ড্রেনের ময়লা পানি নদীতে সরাসরি না পরার জন্য ড্রেনের পানি নদীতে রিফাইন্ডিং করে ফেলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা। সেটা বাস্তবায়িত হলে এ সমস্যা থাকবে না।
Leave a Reply