নিউজ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বরাবরের মতো নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান নিতে হয়েছে।
তাই এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে এ জন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। একদিকে তারা আগুন সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছেন, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছেন।
সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে।
বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
Leave a Reply