সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার (কাপ-পিরিজ) প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোডাউন আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নেতৃত্বে এই শো-ডাউন আয়োজন করা হয়। এদিন প্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ মোটরসাইকেল শোডাউনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের গণসংযোগ ও প্রচারণা শুরু করেছেন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নার শোডাউনে দীর্ঘদিন পর সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোট উৎসবের আমেজ ফিরে এসেছে বলে জানান অনেকে। অন্যদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার অনেক কাজের ভিড়ে যেমন দু’য়েকটি কাজ নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা থাকতেই পারে। ঠিক তেমনি কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে তিনি কতটা জনপ্রিয় সেটা আবারো প্রমাণ হয়েছে। অন্যদিকে ময়নার শোডাউনে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন ময়নার নেতৃত্বে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এমন জমকালো শোডাউন তার বিজয়ী হবার পথ অনেকটা সহজ করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রমাণ হয়েছে উপজেলার রাজনীতিতে ভোটারদের মাঝে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন ময়না। বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেণীর তথা কথিত নেতারা সভা করে ময়নার জনপ্রিয়তা নিয়ে কটুক্তি করেছিল। এদিন ময়নার নেতৃত্বে স্বরণকালের সর্ববৃহৎ শোডাউন দেখে তাদের সেই স্বপ্ন উর্বে গেছে।
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। কারণ এটা স্থানীয় নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। কাজেই সরকারি দলের নেতা কর্মীর সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। যার জ্বলন্ত উদাহরণ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বিগত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করে কিভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহীর মানুষ সেটা ভুলেনি।
এই বিবেচনায় তানোর উপজেলার মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে কোনো ব্যক্তি নয়, সরকারি দলের নেতৃবৃন্দের সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় চাই। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের বোধদয় এটা দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার প্রতিনিধি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর মানসম্মানের বিষয়।
তাই তানোরের আপামরজনসাধারণ এবার কারো কোনো মোহে বা প্ররোচনায় পড়ে সরকার সমর্থক প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না। তাদের অভিমত, ভুল থাকতে পারে প্রার্থী বা কোনো নেতাকর্মীর। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি স্থানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরী কোনো ভুল করেননি। ফলে তাদের সম্মান রক্ষায় তাদের সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত বিকল্প নাই।
কারণ তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় ঘটলে কেউ প্রার্থীর পরাজয়ের কথা বলবে না, বলবে দলের পরাজয় ঘটেছে। আর এটা আওয়ামী লীগের আদর্শিক কোনো নেতা বা কর্মী-সমর্থকের কাম্য হতে পারে না? অপরদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অভিমান বা মোহের বসে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। তারা সেই ভুল অনুধাবন করে এখন অনুতপ্ত।
এবার তারা শপথ নিয়েছে তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তানোর উপজেলা শাখার সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে তারা তাদের সেই ভুলের মাশুল দিতে চায়।
Leave a Reply